ইসলাম শান্তির ধর্ম। সার্বজনীন ও কল্যাণকামী ধর্ম ইসলাম। ইসলামই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের আবরু-ইজ্জতের নিরাপত্তা দিয়েছে। ইসলামই আল্লাহর মনোনীত একমাত্র জীবন বিধান। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কোরআনুল কারিমের সূরা আল ইমরানের ৮৫ নাম্বার আয়াতে বলেন, “যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত।” ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন একমাত্র কল্যাণ নিহিত। ইসলাম ও কুরআন মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা দিয়েছে। ধর্মহীনতা ইসলাম কখনোও সমর্থন করে না।
গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শায়খুল হাদিস মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী, নির্বাহী সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহিম ইসলামাবাদী, মহাসচিব শায়খুল হাদিস মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, সিনিয়র সহ সভাপতি শায়খুল হাদিস মুফতি শেখ মুজিবুর রহমান, সহ-সভাপতি মাওলানা নুরুল হক বট্টগ্রাম, মাওলানা শহিদুল ইসলাম আনসারী, মুফতি গোলামুর রহমান, অধ্যাপক মাওলানা তৈয়বুর রহমান নিজামী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল হক কাওসারী, সহকারি মহাসচিব মুফতি রশীদ বিন ওয়াক্কাস,সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম এসব কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সূরা কাফিরুনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম এবং আমার জন্য আমার ধর্ম।” এ কথার দ্বারা অন্য ধর্মের অনুমোদন দেয়া হয়নি বরং তারা (কাফেররা) যে সমঝোতার প্রস্তাব করেছিল সেটাকে সম্পূর্ণরুপে নাকচ করে দেয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, তোমাদের দ্বীন ও ধর্ম কুফর ও শিরক আর আমার দ্বীন ও ধর্ম তাওহীদের ও একত্ববাদের। এ আয়াতের আরেকটি ব্যাখ্যা হচ্ছে, তোমাদের কর্মফল তোমাদের ভোগ করতে হবে এবং আমার কর্মফল আমি ভোগ করবো। যারা এ আয়াত দ্বারা ধর্মনিরপেক্ষতার কথা কোরআনে আছে বলে প্রচার করেন তাদের এই দাবি সঠিক নয়।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আমরাও চাই মহান সংসদে কোরআনের চর্চা হোক তবে কোরআনের ব্যাখ্যা ও তাফসির হতে হবে সঠিক নীতিমালার আলোকে। মহান সংসদে কোরআনের চর্চা হোক সঠিকভাবে আমরা সেই কামনাই করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন