রাউজানের জনগুরুত্বপূর্ণ মাওলানা দোস্ত মুহাম্মদ সড়ক ভায়া দরগাহছড়ি ও তকিরহাট সড়কের ৩শ’ মিটার এলাকায় শতাধিক গর্ত আর গর্ত।
সরেজমিনে দেখা যায়, দোস্ত মুহাম্মদ সড়কের উত্তরসর্তা দরগাহ বাজার গেট থেকে রাউজান সীমান্ত তোতাগাজীর বাড়ি পর্যন্ত শুধু গর্ত আর গর্ত। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বড় বড় গর্তগুলোর কারণে প্রতিনিয়ত যাত্রীসাধারণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সকল গর্তগুলো পানিতে ভরপূর। চলার পথে গাড়ির ঝাঁকুনিতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে সড়কের অংশ বিশেষ এ জায়গা দিয়ে পায়ে হাটাও দায় পড়ে। অনেক সময় গাড়ির চাকার চাপে কাদাযুক্ত পানিগুলো পথচারিদের কাপড় নষ্ট করে পেলে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি রাউজানেরর উত্তরসর্তা থেকে ফটিকছড়ির সাথে যুক্ত হয়েছে। তোতাগাজীর বাড়ির পশ্চিম পাশ থেকে সড়কটি হাজী মোশারফ আলী সড়ক হিসেবে রেকটেড। দরগাহবাজার থেকে তোতাগাজীর বাড়ি পর্যন্ত এ সড়কের অংশে ফটিকছড়ির দক্ষিণ ধর্মপুর এলাকাসহ উত্তরসর্তার শত শত মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে এ সড়কে। গর্তগুলোর এমন অবস্থা যেন প্রতিটি গর্ত মিনি পুকুর।
হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি আলহাজ মাহবুবুল আলম বলেন, এ সড়কের দুর্ভোগ যেন শেষ হচ্ছেই না। প্রতিনিয়ত মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন। বৃষ্টির কারণে ছোট ছোট গর্তগুলো অনেক বড় বড় আকার ধারণ করছে। গাড়ি চলাচলে প্রতিদিন গর্তগুলো বড় হচ্ছে। তিনি জানান, সর্তাব্রিজ থেকে দোস্ত মুহাম্মদ সড়কের সিরিন্নার পুল পর্যন্ত রিপায়রিং কাজ করার সময় দরগাহ বাজারের অংশটি একই টেন্ডারে হয়ে যেত। কিন্তু গতবার রিপায়রিং করার সময় এ অংশটি বাদ দিয়ে টেন্ডার হওয়ায় এ অংশের ৩শ’ মিটারের কাজটি আর হয়নি। গত কয়েক মাস আগে জেলা প্রকৌশলী আরেকটি সড়ক ভিজিট করতে এসে এমপি’র নির্দেশে এ সড়কের করুণ দশাও দেখে গেছেন।
এদিকে দক্ষিণ ধর্মপুর তরুন সংঘের সভাপতি আলহাজ মাওলানা শহিদুল্লাহ সড়ক দিয়ে পায়ে হেটে যাবার পথে ইনকিলাবকে বলেন, আমরা ফটিকছড়ির বাসিন্দা হলেও প্রতিদিন আমরা সড়কটি দিয়ে রাউজানে যাতায়াত করে থাকি। তিনি জানান, দক্ষিণ ফটিকছড়ির অধিকাংশ মানুষ এ সড়ক ব্যবহার করে উত্তরসর্তাসহ রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন, তেমনি রাউজানের হলদিয়া, আমিরহাট, এয়াছিন নগর, ডাবুয়া, নোয়াজিশপুরের অনেক মানুষ এ পথ ব্যবহার করে তকিরহাট, জাফতনগর, আবদুল্লাহপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় যাওয়া-আসা করেন। তিনি বলেন, রাউজানের এমপি অনেক কাজ করেছেন প্রতিটি এলাকায়। যা দেশের জন্য নজিরবিহীন। আমার মনে হয় তিনি জানলে এ সড়ক এমন থাকতোনা। তাই আমি এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী আমাকে বলেছেন এসড়কটিসহ বাকি যত সড়ক সংস্কার প্রয়োজন সব সড়কের তালিকা ইঞ্জিনিয়ার অফিসে জমা দিতে।
সড়কটি প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে। তিনি বলেন, একবার আমি এ সড়ক দেখেছি। অনেক গর্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে সড়কের পানি নিস্কাশন রোধ করতে সড়কটিতে আরসিসি ঢালাই করে জনদুর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে আসবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন