শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যা

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

চুনারুঘাটে টমটম গাড়ির সিরিয়ালকে কেন্দ্র করে আফিল উদ্দিনের পরিকল্পনায় তার সহযোগী মিজান ১৫০ টাকায় দক্ষিণ বাজারের স্ট্যান্ড থেকে তাজুল ইসলামকে চান্দপুর ভাড়া করে নিয়ে যায়। এসময় মিজান তাজুলকে বলে তার টমটমটি বিকল হয়েছে। পরে গিলানী চা বাগানে তার টমটমটি টেনে আনার কথা বলে তাজুলকে সেখানে নিয়ে যায়। এরপর গলায় রশি বেঁধে আফিল উদ্দিন সহযোগিদের নিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে তাজুল ইসলামকে। পরে তার টমটমের ব্যাটারি খুলে নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ একটি দোকানে ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করে মিজানকে ১৯ হাজার টাকা প্রদান করে।
গত রোববার সন্ধায় হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক ১৬৪ ধারায় আসামি মিজানের জবানবন্দী গ্রহণ করেন। পরে রাত ৮টায় তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। আটককৃতরা হলেনÑউপজেলার কালিচং এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে মিজানুর রহমান ওরফে নয়ন। মূল পরিকল্পনাকারী সদর ইউনিয়নের গোলগাল গ্রামের মৃত মস্তই মিয়ার ছেলে আফিল উদ্দিন। আফিল উদ্দিন বর্তমানে পৌরশহরের চন্দনা এলাকায় বসবাস করছেন।
জানা যায়, গত ২৫ জুন চুনারুঘাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মো. আলফু মিয়ার ছেলে মো. তাজুল ইসলাম (১৪) ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হয়। রাতে বাড়ি না ফেরায় তার পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। পরদিন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারেন গত ২৫ জুন বিকেল সাড়ে ৫টায় গিলানী চা-বাগানের অভ্যান্তরে গলায় রশি পেছানো মৃত অবস্থায় লাশটি পড়ে থাকে। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে চুনারুঘাট থানার ওসি মো. আলী আশরাফ লাশটি উদ্ধার করেন। ২৬ জুন শনিবার দুপুরে লাশের পরিচয় পাওয়া গেলে স্বজনদের কাছে হস্থান্তর করা হয়। এরপর তার পিতা আলফু মিয়া বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের ৭ দিনের মধ্যে হত্যার রহস্য উন্মোচন ও আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। এসআই তরিকুল ইসলাম জানান, আটক আফিল উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন