কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনা উপজেলার ভুতেরবাড়ী গ্রামে ঘটেছে। খবর পেয়ে গতকাল রোববার সরেজমিন গেলে ভুতেরবাড়ী গ্রামের বিজেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের মেয়ে শশিকর কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী বিপাশা বিশ্বাস (১৮) জানান, ২০১২ সালে আমি যখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি তখন থেকে পার্শ্ববর্তী কাফুলাবাড়ী গ্রামের বেলায়েত কাজীর ছেলে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বজলু কাজী (৩৫) আমাকে মোবাইল ফোনে বিরক্ত করত এবং পাশেরবাড়ীর অলি মীরসহ তার পরিবারের লোকও তার প্রস্তাব মেনেনিতে সর্বোক্ষণ যোগাযোগ করে বলত। এক পর্যায়ে বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিলে আমি রাজি হই। এর পর সে আমাকে শশিকর কলেজের পাশে ডাসার একটি ভাড়া বাসায় ৪ মাস পর্যন্ত স্ত্রী হিসাবে ব্যবহার করে এমনকি রমজান মাসে আমাকে দিয়ে ২৭টি রোজা পালন করায়। এখন সে আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এ ঘটনা থানা পুলিশকে জানালে আমাদেরকে খুন করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। এর আগে সে মা-বাবা বাড়ী না থাকায় আমার সাথে আমাদের ঘরে থাকে ঐ রাতে কাফুলাবাড়ীর মন্দির ভেঙ্গে পুলিশের ভয়ে আত্মগোপন করার কথাও জানায়। এছাড়াও তার মৎস্য ঘেরে আমাকে নিয়ে ৫ দিন মেলামেশা করে। বজলু আমাকে স্বপ্ন দেখিয়ে আমার অনেক অপূরণীয় ক্ষতি করে এখন প্রতরণার আশ্রয় নিয়েছে। আমি তাহার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। স্থানীয় ডাক্তার পুলিন চন্দ্র বিশ্বাস, মৃনাল কান্তি বিশ্বাস, সাগর বিশ্বাস ও মেয়ের বাবা বিজেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, এলাকায় তাকে আনাগোনা করতে দেখেছি আর এই সুযোগেই মেয়েটিকে ফুসলিয়ে তার এত বড় ক্ষতি করেছে, মেয়ে যা বলেছে ওটাই সঠিক। স্থানীয়দের ধারণা বজলু অনেক বড় বড় অপরাধ করে আত্মগোপন করতেই এখানে অবস্থান করে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকা- পরিচালনা করে। এ ব্যাপারে বজলু কাজীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এগুলো মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য। কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ফারুক জানান, আমরাতো এখনও কিছু জানিনা যদি তারা এসে অভিযোগ দেয় তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন