ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা চিকিৎসক এএইচ এম সালেকীন মামুনকে মারধরের অভিযোগে যুবলীগ নেতা মাহবুবুল হক মনিসহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মুক্তাগাছা থানার ওসি দুলাল আকন্দ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- যুবলীগ সভাপতি মাহবুবুল আলম মনি(৩৫) যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান, জুয়েল, রানা দে ও শরীফ। এদের সবাইকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে মাহবুবুল হক মনি মুক্তাগাছা উপজেলা য্বুলীগের সভাপতি ও মুক্তাগাছা পৌরসভাপর মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকারের মেয়ের জামাতা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা চিকিৎসক এএইচ এম সালেকীন মামুন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে দায়িত্ব পালনকালে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পরিচয়ে মনি তাকে কল দিয়ে বাসা থেকে তার মায়ের স্যাম্পল আনতে বলেন। এ সময় বাসা থেকে স্যাম্পল না বন্ধ জানালে সে ফোন কেটে দেয়। এ ঘটনার আধা ঘন্টাপর মনি কয়েক জনকে সাথে নিয়ে হাসপাতালে এসে গালিগালাজ করে দরজা জানালা বন্ধ করে আমাকে মারধর করে। পরে এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেই।
ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দুপুরে যুবলীগ নেতা মাহবুবুল হক মনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুনকে মারধর করেন। করোনাকালন সময়ে আমাদের উপর আঘাত কোন ভাবে মেনে নিতে পারছি না। যাই হোক মনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আমরা এর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর রাতে মাহবুবুল হক মনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হবে। এই সময়ে চিকিৎসক, পুলিশ এবং সাংবাদিকরা হচ্ছে সম্মুখ সারির যোদ্ধা তাদের উপর আঘাত কোন ভাবেই মেনে নেয়া হবে না। সে যাই হোক তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন