করোনা সংক্রমণ রোধে শর্ত মেনেই চট্টগ্রামে বসছে কোরবানির পশুর হাট। আগামী ১২ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ১০ দিনের জন্য নগরীতে তিনটি অস্থায়ী বড় পশুর হাট বসার কথা রয়েছে। এছাড়া স্থায়ী তিনটি হাটেও কোরবানির পশু বেচাকেনা হবে। এই ছয়টি হাট অনুমোদনের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) ১৭টি শর্ত দিয়েছে। মহানগরীর বাইরে জেলার ১৫টি উপজেলায় আরো দুই শতাধিক পশুরহাটেও এসব শর্ত পালন করতে হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে এবার সপ্তাহে একদিন হাট বসবে। নগরীতে ছয়টিসহ মোট ২০৬টি হাট বসার কথা রয়েছে। এসব হাটের জন্য ৩০টি ভেটেরিনারি চিকিৎসক টিম থাকবে। ব্যবসায়ী ও খামারিরা বলছেন, হাট না বসলে তাদের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। কারণ কোরবানির হাটকে সামনে রেখে তারা গবাদি পশু পালন করেছেন। হাট না বসলে কোরবানিদারাও বিপাকে পড়বেন। চট্টগ্রামে পশুর হাটগুলোকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গবাদি পশু নিয়ে আসেন ব্যবসায়ী-খামারিরা। তবে এবার হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হবে। মাপা হবে শরীরের তাপমাত্রা। ঠান্ডা, জ্বর ও কাশিতে আক্রান্তদেরকে হাটে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। স্বাস্থ্যবিধি নেমে চলতে ব্যানার, পোস্টার টাঙানোসহ সবসময় মাইকে প্রচারের ব্যবস্থাও থাকবে বলে জানান হাট ইজারাদাররা।
শর্ত অনুযায়ী প্রধান সড়ক থেকে কমপক্ষে ১০০ গজ দূরে সুবিধাজনক স্থানে হাট বসাতে হবে। হাটের বাইরে এবং রাস্তায় কোনও পশু রাখা বা খুঁটি স্থাপন করা যাবে না। হাটে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান-পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাটে একদিকে প্রবেশ এবং অন্যদিকে বের হওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। যাতে জটলা সৃষ্টি না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। এছাড়াও বৃদ্ধ ও শিশুদের পশুর হাটে প্রবেশ নিরুৎসাহিত করতে হবে। অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়কে উৎসাহ প্রদান এবং হাটে ইজারাদাররা নিজস্ব পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করবেন। হাটে পশুর সুস্থতা যাচাইয়ে ভেটেরিনারি চিকিৎসকের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। বাজার এলাকা নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার রাখবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন