গতবছর প্রথম লকডাউন। চলতি বছর ফের দ্বিতীয়বারের জন্য লকডাউন। এখনও সড়কে গড়ায়নি বাসের চাকা। দিনদিন বাড়ছে আর্থিক অনটন। সেই অভাবের জ্বালা সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন বাসচালক। বৃহস্পতিবার সকালে স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকুরিয়া-হাওড়া রুটের ৩৭ নম্বর বাসের ভেতর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বাসচালকের নাম রঞ্জিত দাস। বাড়ি ভারতের গড়িয়ার নয়াবাদে। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাসের ভেতরে আশপাশের লোকজন ঢুকে রঞ্জিতের লাশ দেখতে পায়। লাশ উদ্ধারের সময় দেখা যায় মশারির দড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় লেক থানার পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ওই স্ট্যান্ডের অন্যান্য বাস কর্মীরা জানান, অভাবের তাড়নায় এই চরম পদক্ষেপ নিয়েছেন রঞ্জিত। লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বাস রাস্তায় না নামায় গত দু’মাস ধরে চিন্তায় ছিলেন। বারবার বলতেন, আর সংসার টানা যাচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গের জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের পদাধিকারী তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, নির্বাচনের সময় কমিশনের পক্ষ থেকে যে বেসরকারি বাসগুলো ভাড়া নেওয়া হয়েছিল, তা বাবদ টাকা এখনও হাতে পাননি রঞ্জিত দাস। সেই চিন্তায় আরও হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। এমনকি মালিকও বকেয়া বেতন দেননি। জিনিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন