গোলির দুপাশ দিয়ে বেড়ে উঠেছে পাহাড়ের মতো উঁচু উঁচু দালান। দালান গুলো যেনো একেকটা নির্জীব পড়ে আছে দিন দুপুরে বন্ধ জানালা ও শূন্য বেলকনি নিয়ে।
অই বেলকনিতে সন্ধ্যা এলে বোবা আলো জ্বলে, জ্বলে ল্যাম্পপোস্ট।
একটি কুকুর টান টান হয়ে পড়ে থাকে সে আলোর নিচে। ওর নাম ভূতো। এই সোসাইটির কেউ একজন এই নাম দিয়েছিলো তাকে। সে বেশ আগেকার কথা। সেই যে শিশু ভূতো কোনো মনুষ্যের পিছু ধরে এসেছিলো এই গোলিতে আর অন্যত্র যাওয়া হয়নি কখনো। আজ পর্যন্ত এভাবেই আছে সে। আছে এই শহরের ঘর গুলো আবার খোলার প্রার্থনায়, আবার খাবার পাওয়ার প্রর্থনায়, আবার কেউ একজন হাত দেখিয়ে বলবে, “ভূতো, নে! নে!, ভূতো!’ এই প্রর্থনায়।
যেই ফর্সা মেয়েটি নয়টা পাঁচটা অফিস করে বিস্কুট দিতো গোলির মাথা হতে বাড়ি অব্দি। বলতো, ‘এই দেখ আজো তোর জন্য কী এনেছি, দেখ! দেখ!’
সেও হয়তো আসবে, যে চলে গেছে।
গত সপ্তাহের এক রাতে যখন স্ট্রেচারে শোয়া অই ফর্সা মেয়েটি একবার ভূতোকে দেখছিলো;
ভূতোও দেখছিলো মেয়েটির বুক কেমন বারবার দালানের মতো পাহাড় হয়ে ভেঙ্গে পড়ার দৃশ্য।
এরপর একটি সাদা রঙা গাড়ি লাল-নীল দুঃখ কষ্টের আলো ছড়িয়ে মুহূর্তেই হারিয়ে গিয়েছিলো....
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন