করোনা মহামারী রোধে কথিত লকডাউন বুধবার সকাল থেকে উঠে যাবার পরে দক্ষিণাঞ্চলের সর্বত্র জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে। গন পরিবহন চালু হওয়ায় সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থাও পণর্বহাল হওয়ায় মানুষজনের চলাচলও স্বভাবিক পর্যায়ে । বরিশাল মহরানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো শহর-বন্দরে বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোও খুলে গেছে।
তবে যুব সমাজ থেকে শুরু করে অনেক মানুষের মধ্যেই মাস্ক পড়ার প্রতি এখনো পরিপূর্ণ অনিহা লক্ষ্যনীয়। যা পরিস্থিতির ভয়বহতা আরো বৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকগন।
তবে অনেকেই বিগত দীর্ঘদিনের লকডাউনের কার্যকরিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। সদ্যসমাপ্ত লকডাউনের মধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলে সর্বাধীক সংক্রমন ও মৃত্যু নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বুধবার অনেকে মানুষ। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, এবার করোনা মহামারী দক্ষিণাঞ্চলের সুদুর পল্লী এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় লকডাউনের তেমন সুফল লক্ষ্য করা যায়নি। মূলত গত ২১ জুন দক্ষিণাঞ্চলের ১৭৪টি ইউপি নির্বাচনের পর থেকে এ অঞ্চলের গ্রামেগঞ্জে করোনা মহামারী ভয়াবহ রূপ ধারন করে। যা এখন নিয়ন্ত্রনে আনা দুরুহ হয়ে পড়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেব অনুযায়ী গত বছর ১১ মার্চ থেকে চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত যে ৩৩ হজার ৮২৯ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাাস শনাক্ত হয়েছে, তার মধ্যে শুধু জুলই মাসেই সংখ্যাটা ছিল প্রায় ১৬ হাজার। এসময়ে মৃত ৪৭৪ জনের মধ্যে জুলাই মাসেই মারা গেছেন ১৬৩ জন। আর চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে দক্ষিণাঞ্চলে আরো ৫ হাজার ৫২৪ জন নতুন শনাক্তের সাথে মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের। বুধবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টাও দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় আরো ৩৮৬ জন করোনায় আক্রান্তের সাথে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এ নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে মোট সংক্রমন সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৪২ জনে উন্নীত হল। মৃত্যু হয়েছে ৫৬৯ জনের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন