ফেরিতে যাত্রী ও সব ধরনের যাত্রীবাহী গাড়ি বন্ধে নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ফেরিতে পারাপার করতে পারবে। গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এ ঘোষণার পরেও ফেরিতে গাদাগাদি করে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পার হয়। গতকাল বিকেলে দেখা গেছে এমন দৃশ্য।
এদিকে, কঠোর লকডাউনের মধ্যেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যান ও যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ছোট ছোট যানবাহনে চড়ে বা পায়ে হেঁটে যাত্রীরা ঘাটে পৌঁছাচ্ছে পদ্মা পার হওয়ার উদ্দেশে। গতকাল সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট এড়িয়ে শতশত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ঘাটে আসতে দেখা গেছে।
আর পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও পিকআপের সংখ্যাও বেড়েছে। সকাল থেকে ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ছিলো চোখে পড়ার মতো। ১০টি ফেরি দিয়ে ঘাট স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হলেও আটকা পড়েছে প্রায় ২ শতাধিক ছোট-বড় গাড়ি।
সরেজমিনে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয় দফা লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে যেন জনস্রোত শুরু হয়েছে। পথে পথে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে এবং গণপরিবহন না থাকায় বিড়ম্বনা মাথায় নিয়েই ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে পরিবার নিয়ে বিভিন্নভাবে শিমুলিয়ায় ছুটে আসছে মানুষ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে সকাল থেকে ১০টি ফেরি চলছে। ঘাটে ফেরিতে যাত্রী পার হচ্ছে না তবে যারা জরুরি প্রয়োজনে ব্যক্তিগত গাড়িতে আসছে তাদের যেতে দেয়া হচ্ছে।
লৌহজং থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ঘাটে যারাই আসছে বিভিন্ন অজুহাত দিচ্ছে। প্রয়োজনীয় তথ্য বা প্রমাণ দিতে পারলে আমরা ঘাটে যেতে দেই আর যারা প্রয়োজনীয় প্রমাণ দিতে না পারে তাদের শাস্তিসহ আগের গন্তব্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন