সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

গঙ্গাচড়ার কৃষকের আঙিনায় আগাম আমন

প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনামুল হক মাজেদী, গঙ্গাচড়া (রংপুর) থেকে

এক সময়ের দেশের উত্তরাঞ্চলের সব চেয়ে মঙ্গা কবলিত এলাকা বলে পরিচিত রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় এখন মঙ্গাকে চিরতরে বিদায় দিয়েছে। এখানকার লোকজনের শিক্ষিতের হার বাড়ার পাশাপাশি দেশে এবং দেশের বাহিরে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। তেমনি মঙ্গা মোকাবেলায় বর্তমান সরকারের নানামুখী বাস্তব পদক্ষেপ সফল হয়েছে। ইতিপূর্বে এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে আশ্বিন-কার্তিক মাসে নিম্ন শ্রেণির মানুষের হাতে কাজ না থাকায় কর্মহীন বেকার অবস্থায় ঘরে বসে থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে জীবন-যাপন করত এ অঞ্চলের মানুষ। কেউবা দাদন ব্যবসায়ীর কাছে চড়া সুদে ঋণের টাকা নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত আবার কেউ গৃহস্থদের কাছে আগাম শ্রম বিক্রি করত। ফলে এক সময় দেনার ভারে সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসতে হত। কিন্তু বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার উত্তরাঞ্চলের তথা গঙ্গাচড়ার মানুষের অভাব পূরণে নানামুখী পদক্ষেপের পাশাপাশি আশ্বিন-কার্তিক মাসে কাজ সৃষ্টির লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধিনে এ অঞ্চলের কৃষক-কৃষাণিদের প্রশিক্ষণ এবং কৃষকদের আগাম ধান চাষের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে একদিকে যেমন আশ্বিন-কার্তিক মাসে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন অন্যদিকে এ অঞ্চলের কৃষকরা আগাম ধান বেশি দরে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। গঙ্গাচড়া উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৮ হাজার ১৮৫ হেক্টর অর্জিত হয়েছে ১৮ হাজার ৫৫০ হেক্টর। তন্মধ্যে আগাম জাতের ধান যেমন ব্রি ৩৩ জাত ৩৫৫ হেক্টর, ব্রি-৫৭ জাত ৯৯ হেক্টর, বিনা-৭ জাত ৭৩০ হেক্টর, বিনা-৩৯ জাত ২১০ হেক্টর, বিনা-১১ জাত ২৫৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ধান পাকতে শুরু করেছে। কেউ কেউ ইতোমধ্যে ধান মাড়াই শুরু করেছেন। কোন কোন জমির ধান ১৫/২০ দিনের মধ্যে কাটা যাবে। উপজেলার দক্ষিণ কোলকোন্দ গ্রামের কৃষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, জালাল উদ্দিন, আব্দুল জব্বার, জাকারিয়া বলেন, তারা কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী ব্রি-৬২ জাতের জিংক সমৃদ্ধ ধান আবাদ করে ধানের চেয়ে খড় বিক্রি করে দ্বিগুণ লাভবান হয়েছেন। এ ধান একদিকে যেমন তাদের অভাব পূরণ করেছে অন্যদিকে গবাদি পশুর খাদ্যের চাহিদাও কিছুটা পূরণ হয়েছে। গঙ্গাচড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আশ্বিন কার্তিক মাসে এ অঞ্চলে অভাব ছিল। আগাম ধান চাষে কৃষকদের যেমন লাভ হয়েছে। কৃষক শ্রেণির লোজনের কর্মসংস্থানের ফলে তাদের বেকারত্ব দূর হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন