শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

উপ সম্পাদকীয়

৯০ ব্যক্তিকে হত্যার খবর ব্যাক বার্নারে : উরির ঘটনা সামনে এনে হামলা চালাবে ভারত

প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মোবায়েদুর রহমান
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আশঙ্কা সম্পর্কে গত রবিবার ‘দৈনিক ইনকিলাব’-এর প্রথম পৃষ্ঠায় আমি একটি সংবাদ ভাষ্য লিখেছি। ওই সংবাদ ভাষ্যে বলার চেষ্টা করেছি যে, যতই টান টান উত্তেজনা থাকুক না কেন, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সীমিত যুদ্ধ বা সর্বাত্মক যুদ্ধের সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে। তবে আমাদের মতো সিভিলিয়ান, যাদের সাথে সামরিক বাহিনীর বিন্দুমাত্র যোগাযোগ নেই, তাদের পক্ষে এসব ব্যাপারে শেষ কথা বলা কঠিন। আজ অর্থাৎ রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম, আজ রাতেই (রবিবার) নাকি পাকিস্তানের ওপর ভারত বিমান হামলা চালাবে। জঙ্গি বিমানের ছত্রছায়ায় তার সেনাবাহিনী এক দিক দিয়ে আজাদ কাশ্মীর এবং অন্যদিকে পাঞ্জাব সীমান্ত অতিক্রম করবে। কোথা থেকে তারা এই খবর পেলেন, আমরা সেই খবর জানি না। যদি সত্যি হয় তাহলে আগামী মঙ্গলবার, যেদিন আমার এই লেখাটি ছাপা হবে, সেদিন হয়তো পত্র-পত্রিকার চেহারা বদলে যাবে, এই অর্থে যে সব পত্রিকা যুদ্ধের সংবাদে পরিপূর্ণ থাকবে। গত শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের তিন বাহিনী প্রধান অর্থাৎ সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী এবং বিমান বাহিনী প্রধানদের সাথে আবার বৈঠক করেছেন। বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মি. অজিত দোভাল। এটি সামরিক বাহিনীর প্রধানদের সাথে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় দফা তো বটেই, সম্ভবত তৃতীয় দফা বৈঠক। এই বৈঠকের সংবাদ শুনে কারো কারো মনে এই ধারণা হতে পারে যে, যুদ্ধ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার জন্যই হয়তো প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠক করেছেন। হয়তো সে কারণেই কেউ কেউ এমন সিদ্ধান্তে আসতে পারেন যে, আজ (রবিবার) রাতেই পাকিস্তান আক্রমণ করবে ভারত। যেহেতু এই লেখাটি মঙ্গলবার ছাপা হবে তাই রবিবার এবং সোমবারের মধ্যে যদি কিছু ঘটে যায় তাহলে সেই বিষয়টি আমি আপনাদের জানাতেও পারব না বা কিছু লিখতেও পারব না। সুতরাং মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ নেই। তবে এসব সংবাদ সত্ত্বেও আমার এখনো ধারণা এই যে, শেষ পর্যন্ত হয়তো যুদ্ধের দাবাগ্নি জ্বলে উঠবে না।
এর মাঝে আরেকটি খবর দেখলাম। খবরে বলা হয়েছে যে, সিন্ধু নদের পানি বণ্টন সম্পর্কিত পাক-ভারত চুক্তিটি নাকি ভারত একতরফাভাবে বাতিল করবে। ইতোমধ্যেই কয়েকজন ভাষ্যকার এ রকম মন্তব্য করছেন যে, ভারত পাকিস্তানকে গোলাবারুদে না মেরে পানিতে মারবে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, সিন্ধু নদের পানি বণ্টন নিয়ে ১৯৬০ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহরু এবং পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল আইয়ুব খানের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন। সিন্ধু নদের পানি বণ্টনের বিষয়টি ভারত সরকারের বিবেচনায় আছে জানিয়ে বিকাশ বলেছেন, ‘যে কোনো সহযোগিতামূলক ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজন উভয়পক্ষের সুসম্পর্ক এবং সহযোগিতা।’
সিন্ধু নদের উৎসমুখ ভারতে। পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে তা মিশেছে আরব সাগরে। ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু নদের পানি বণ্টন নিয়ে চুক্তি সই হয়। ওই চুক্তি অনুসারে সিন্ধু নদের শাখা শতদ্রু, বিপাশা ও ইরাবতি নদী পড়ে ভারতে। আর সিন্ধু, চিনাব ও ঝিলম পড়ে পাকিস্তানে। চুক্তি অনুযায়ী ভারত সিন্ধু নদের মাত্র ২০ শতাংশ ব্যবহার করে। এখন যদি নদের পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেয় ভারত তবে সমস্যায় পড়ে যাবে পাকিস্তান। সেচ থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য পাকিস্তান সিন্ধুর এসব শাখার ওপর নির্ভরশীল। এখন দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ লাগবে, সেই খবরটি সত্যি, নাকি সিন্ধু নদের পানি প্রত্যাহার করে ভারত পাকিস্তানিদের পানিতে মারবে, সে খবরটি সত্যি? এ সম্পর্কে স্পষ্ট করে এই মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।
॥ দুই ॥
যুদ্ধে জয়-পরাজয়ের পূর্বাভাস, দুই দেশের অস্ত্রসম্ভারের ফিরিস্তি এবং বিদেশিদের হস্তক্ষেপের বিষয়ে ইনকিলাবের ওই রিপোর্টে আমি কিছু তথ্য দিয়েছি। তাই আজ আমি আর ওইদিকে যাব না। আমি বরং দেখব, হঠাৎ করে যুদ্ধের কথা উঠল কেন। একটি বিষয় খুব উৎকটভাবে আমার চোখে ধরা পড়েছে। বহু বছর তো কাশ্মীর খুব শান্ত ছিল। হঠাৎ করে সেটি এমন প্রচ- উত্তপ্ত হলো কেন? বাংলাদেশের মিডিয়া এবং বিশ্বের অধিকাংশ মিডিয়া মাত্র একটি ঘটনার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। আর সেটা হলো ভারতীয় চৌকিতে সশস্ত্র ব্যক্তিদের হামলা এবং ১৮ জন ভারতীয় সৈন্যের প্রাণহানি। ইন্ডিয়াও এই ইস্যুটিকে অর্থাৎ কাশ্মীরের উরির সীমান্ত চৌকিতে হামলাটাকেই প্রধান ইস্যু বানিয়েছে এবং সেই হামলার বদলা নেওয়ার জন্য পাকিস্তান সীমান্তে বিপুল সৈন্য সমাবেশ করেছে। তারা একই সাথে ঘোষণা করেছে যে, যারা এই কাজটি করেছে তাদেরকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। ভারত এবং ভারতপন্থিরা তার আগের ঘটনাগুলো চেপে গেছে। দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশের অধিকাংশ পত্র-পত্রিকা সেই ইন্ডিয়ান লাইনই ফলো করছে। অথচ ঘটনার উৎপত্তি অন্যত্র। সেটি হলো, কাশ্মীরের বিক্ষোভকারীদের ওপর ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচ- দমন নীতি এবং এক ২২ বছরের তরুণকে ভারতীয় বাহিনী কর্তৃক বন্দুকযুদ্ধের নাম করে হত্যা করা। ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে এভাবে : আজ থেকে প্রায় ৩ মাস আগে জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ তাদের পুরাতন দাবি অর্থাৎ স্বাধীনতার দাবিতে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিক্ষোভ শুরু করে। দ্রুত সেই বিক্ষোভ কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। গণবিক্ষোভ ও গণআন্দোলন দমানোর জন্য ভারত প্রচ- দমন নীতি চালায়। এসব দমন নীতির মধ্যে অন্যতম ছিল কিছু কিছু বিক্ষোভকারীকে অপহরণ এবং তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধ বা এনকাউন্টারের নামে হত্যা করা। এ ধরনের হত্যাকা-ের ধারাবাহিকতায় গত ৮ জুলাই বুরহান ওয়ানি নামক ২২ বছরের এক যুবককে ভারতীয় বাহিনী ধরে নিয়ে যায় এবং হত্যা করে। ৯ জুলাই বুরহানের হত্যাকা-ের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সমস্ত কাশ্মীরে দাবানলের মতো গণআন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গণআন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপান্তরিত হয়। বুরহান ওয়ানির জানাজায় ২ লাখ মানুষ শরিক হন। বুরহান ওয়ানি ছিলেন হিজবুল মুজাহিদীনের তরুণ নেতা। জানাজার পর লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। যে দেশ অর্থাৎ যে কাশ্মীরের জনসংখ্যা হলো ১ কোটি ২৫ লাখ, যে কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের জনসংখ্যা হলো ৯ লাখ সেখানে দুই লাখ লোকের রাস্তায় নেমে আসা একটি অসাধারণ ঘটনা।
॥ তিন ॥
১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের লড়াই স্তিমিত হয়ে পড়ে। ইস্টার্ন ফ্রন্ট অর্থাৎ সাবেক পূর্ব পাকিস্তান ফ্রন্ট (বর্তমান বাংলাদেশ) পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন হলে এখানে মোতায়েন কয়েক লাখ ভারতীয় সৈন্য ফ্রি হয়ে যায়। তাদেরকে তখন কাশ্মীর ফ্রন্টে মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে কাশ্মীর ফ্রন্টে ভারতের ৬ লাখ সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।
কাশ্মীরিরা ১৯৪৮ সাল থেকেই পাকিস্তানভুক্ত হতে চেয়েছে। উপমহাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক মানচিত্রের পটভূমিতে কাশ্মীরে স্বাধীনতার আওয়াজ ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে যায়। নিয়ন্ত্রণ রেখার এ পারে অর্থাৎ ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে ভারত পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। তারপর থেকেই কাশ্মীরে বিভিন্ন সময় গণআন্দোলন, বিক্ষোভ, সংঘর্ষ এবং মৃত্যুর ঘটনা নিয়মিত ঘটতে থাকে। কিন্তু দীর্ঘ ৪০ বছর পর গত ৯ জুলাই থেকে সারা কাশ্মীরে ভারতবিরোধী গণবিস্ফোরণের যে আগুন জ্বলে ওঠে তেমনটি বিগত ৪০ বছরে ঘটেনি। এবার পুনরায় কাশ্মীরিরা স্বাধীনতার আওয়াজ আকাশ-বাতাস বিদীর্ণ করে। জনতার রোষ থামানোর জন্য ভারতীয় বাহিনী সারা কাশ্মীরে কারফিউ জারি করে। দেড় মাস পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকে। ৮৬ হাজার বর্গমাইলব্যাপী বিস্তৃত বিশাল এলাকায় (বাংলাদেশের চেয়ে আয়তনে দেড় গুণেরও বড়) একনাগাড়ে দেড় মাসব্যাপী কারফিউ বলবৎ রাখা একটি নজিরবিহীন ঘটনা। কিন্তু এত প্রচ- দমন নীতির পরেও কাশ্মীরিদেরকে দাবিয়ে রাখা যায়নি। আন্দোলনকারী জনগণ কারফিউ অমান্য করে। আন্দোলনকারীদের ওপর ভারতীয় সৈন্য বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনী গুলিবর্ষণ করলে ৯০ জন কাশ্মীরি নিহত হয় এবং ৮ হাজার মানুষ আহত হয়। ভারতীয় বাহিনীর বিলেট বর্ষণের ফলে শত শত মানুষ অন্ধত্ববরণ করেছে।
কাশ্মীরে লাগাতার কারফিউ, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৯০ জন কাশ্মীরির মৃত্যু এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হওয়ার পর সীমান্ত চৌকি উরিতে হলো আত্মঘাতী হামলা। এই হামলায় ১৮ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়েছে। ভারতের সৈন্যের পাল্টা গুলিতে ৪ জন হামলাকারী নিহত হয়েছে।
॥ চার ॥
৯০ জন কাশ্মীরিকে হত্যা করা এবং গণঅভ্যুত্থানের খবরকে ব্যাক বার্নারে রেখে উরির হামলাকে ভারত হাইলাইট করছে। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো এই যে, আজ রবিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর পাক-ভারত উত্তেজনার ওপর যে বিবৃতি দিয়েছে সেখানে উরির সীমান্ত চৌকিতে হামলার নিন্দা করা হয়েছে। কিন্তু কাশ্মীরে দেড় মাসব্যাপী লাগাতার কারফিউ, ৯০ মানুষকে ভারতীয় বাহিনীর হত্যা এবং ৮ হাজার মানুষকে আহত করার বিষয়ে মার্কিনিরা একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি।
মার্কিনিরা আফগানিস্তান দখল করেছে। তারপর সেখানে সন্ত্রাসী বা উগ্রবাদী তৎপরতা শুরু হয়েছে। ওরা ইরাক দখল করেছে। তারপর সেখানে সন্ত্রাসী বা উগ্রবাদী তৎপরতা শুরু হয়েছে। ওরা সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালিয়েছে। তারপর সেখানে সন্ত্রাসী বা উগ্রবাদী তৎপরতা শুরু হয়েছে। মার্কিনিরা তাদের আগ্রাসনের খবর চেপে যায়, কিন্তু উগ্রবাদের খবরটিকে পুঁজি করে নিত্য নতুন স্থানে যুদ্ধের ফ্রন্ট খোলে। ভারতের কথাবার্তা শুনেও মনে হচ্ছে যে, ওরা মার্কিনি মহাজনী পথ অনুসরণ করছে।
ফিরে আসছি যুদ্ধের আশঙ্কার কথায়। বলা হচ্ছে, চীনারা নাকি এই সংকটে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে। কীভাবে দাঁড়াবে? তারা নাকি ভারত সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করেছে। আমি অবশ্য এরকম খবর দেখিনি। তবে খবরটি যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে ভারত ‘র’ নামক তাদের দক্ষ গোয়েন্দা বাহিনী দিয়ে অবশ্যই জানবে যে পাকিস্তান আক্রমণ করলে চীন পাকিস্তানের পক্ষে সামরিক হস্তক্ষেপ করবে কিনা। সামরিক হস্তক্ষেপ করবে বলে যদি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা খবর দেয় তাহলে আমি একশত ভাগ দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি যে, উভয় দেশ যতই যুদ্ধংদেহী ভাব দেখাক না কেন চীনের ভয়ে শেষমেশ পাকিস্তান আক্রমণ করবে না ভারত।
Email: journalist15@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
রবিউল ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ৯:৪৭ এএম says : 0
কিছুই হবে না । হলে অনেক আগেই অনেক কিছু হতো।
Total Reply(0)
রফিক ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ৯:৫৬ এএম says : 5
কাশ্মীরের স্বাধীনতাই একমাত্র সমাধান। অন্য যা করবে সেটাই ভারতের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
Total Reply(0)
Bithi ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১:২৯ পিএম says : 0
very informative and logical writing . thanks to the writer
Total Reply(0)
md Abdullah ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ৩:২০ পিএম says : 0
ভারত শুধু দেখাচ্ছে তাদের উপর হামলা চালিয়েছে, আর এটি অপরাধ। তাদের যেই অপরাধ আছে সে বিষয়ে চুপ।এমনি সব মারকিনিরাও।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন