মুন্সীগঞ্জ-ঢাকা সুষ্ঠু সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ২০০২ সালে বেতকা-তেঘড়িয়া রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০.৩৭ কি.মি. দীর্ঘ রাস্তাটি ঢাকার কেরানীগঞ্জের তেঘড়িয়া হয়ে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে মিলিত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর বেতকা এবং ধলেশ্বরী নদীর ওপর শাপেরচর সেতুসহ রাস্তার ৮০ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। কিন্তু মোল্লারহাট সেতুর কাজ গত ১০ বছরে হয়েছে মাত্র ১০ ভাগ। মোল্লারহাট সেতুর অভাবে মুন্সীগঞ্জবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশের পর সম্প্রতি এ রাস্তা এবং সেতুটির নির্মাণ কাজ আবার শুরু হয়েছে।
জানা যায়, বেতকা-তেঘড়িয়া সড়কটি চালু হলে মুন্সীগঞ্জের সাথে সড়ক পথে ঢাকার দূরত্ব যেমন কমে আসবে তেমনি যানজট মুক্তভাবে ঢাকায় যাতায়াত করা যাবে। পাশাপাশি এ এলাকায় কৃষিভিত্তিক শিল্পের প্রসার ঘটবে।
অভিযোগে জানা যায়, একটি স্বার্থন্বেষী মহল মোল্লারহাট সেতুর নির্মাণ কাজ বিলম্বিত করছে। মোল্লারহাট সেতুর নির্মাণ কাজ আবার শুরু হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ অনেক খুশি। আবদুল্লাপুরের ডা. আব্দুল আলিম বলেন, মোল্লারহাট সেতুটি নির্মাণের মাধ্যমে সংযোগ সড়কটি দ্রুত চালু হবে। সড়কপথে ঢাকাগামী যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ কমবে। বেতকা গ্রামের কৃষক জামাল বেপারী বলেন, এ রাস্তটি চালু হলে উৎপাদিত কৃষি পণ্য ঢাকায় সহজে পরিবহন করতে পারবো। বালুরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, সংযোগ সড়কটি চালু হলে এ অঞ্চলের কৃষিপণ্য সহজে রাজধানীর কাওরান বাজারে পরিবহন করা যাবে।
তিনি মোল্লারহাট সেতুটির নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে সংযোগ সড়কটি চালু করার দাবি জানান। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহজাহান আলী জানান, প্রায় ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫২ মিটার দীর্ঘ মোল্লারহাট সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। গত বছর এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্ধের অভাবে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ ছিল। অর্থ বরাদ্ধ পাওয়ায় আবার কাজ শুরু হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে কাজের গতি কিছুটা কমেছে। আগামী বছরের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে সেতুর ৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন