শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দোকান খোলার পক্ষে নয় মালিক সমিতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০২১, ১২:০৩ এএম

করোনা মহামারিকালে সারাদেশে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু। এখন গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় সরকারি ভাবে কঠোর বিধিনিষেধের (লকডাউন) আগামীকাল বুধবার থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করে আজ প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এদিকে শিথিল হতে যাওয়া লকডাউনের ভেতরে চলতে পারে গণপরিবহন, খুলতে পারে শপিং মল ও দোকানপাট। একইসঙ্গে আগামী ১৭ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে কোরবানির পশুর হাট, চলবে ২১ জুলাই পর্যন্ত। তবে করোনার এই পরিস্থিতিতে দোকান খোলার পক্ষে নয় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
সংগঠনটির সভাপতি হেলাল উদ্দিন গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কোরবানির ঈদে এমনিতেই আমাদের ব্যবসা কম থাকে। এছাড়া এখন করোনা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এই অবস্থায় আমরা দোকান মালিক সমিতি দোকানপাট খোলার পক্ষে নই। আমাদের যে ক্ষতিটা হওয়ার তা হয়ে গেছে। দোকানের ভেতরে যে মালগুলো আছে, সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি উল্লেখ করেন, কঠোর যে লকডাউন দেওয়া হয়েছে, আর যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, যে ভাবে মৃত্যু বাড়ছে, এ অবস্থায় দোকানপাট খুলে দেওয়ার কথা বলার সাহস আমাদের নেই। রমজানের ঈদকে সামনে রেখে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খুলেছিলাম। তখন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখন নিয়ন্ত্রণে নেই। তিনি বলেন, ভারতের চেয়ে আমাদের এখানে সংক্রমণ বাড়ছে। জনসংখ্যার বিচারে শতাংশ হিসাব করলে ভারতের চেয়ে এখানে মৃত্যু বেশি। ভারতে কখনও ৩০ শতাংশের বেশি সংক্রমণ হয়নি। এখানে ৩০ শতাংশের বেশি সংক্রমণের হার। কোথাও কোথাও ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ সংক্রমণ হচ্ছে। দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আরও বলেন, ভারতের চেয়ে আমরা এখন অসম্ভব খারাপ অবস্থার মধ্যে আছি। কাজেই এই পরিস্থিতিতে দোকানপাট খোলার পক্ষে আমরা নই।
হেলাল উদ্দিন বলেন, ১৪ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন। মাত্র দুই-তিন দিনের জন্য দোকান খুললে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন দিতে হবে। ভাড়া দিতে হবে। সমিতির চাঁদা, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিল দিতে হবে। এই তিন দিন দোকান খুলে এত টাকা দেওয়া কারোর পক্ষেই সম্ভব নয়। তিনি বলেন, এই দুই দিন বা তিন দিনের জন্য কোরবানির গরু কেনা ছাড়া কেউ বাইরে বের হবে না। সে ক্ষেত্রে আমরা এখন চুপচাপ থাকতে চাই। দোকান মালিক সমিতির কেউ দোকান খোলার পক্ষে না। সরকার যেভাবে চায়, আমরা সেভাবেই চলতে চাই।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলমান লকডাউন আগামী ১৪ জুলাই মধ্যরাতের পর আবারও ২৩ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে কোরবানির ঈদের বিবেচনায় লকডাউনের শর্ত শিথিল হতে পারে। খুলে দেওয়া হতে পারে দোকানপাট, শপিং মল। অনুমতি দেওয়া হতে পারে গণপরিবহন চলাচলের। তবে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ২৩ জুলাইয়ের পর আবারও কঠোর লকডাউনের আসতে পারে দেশ। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার রাজধানীতে ১৯টি অস্থায়ী পশুর হাট বসছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১০টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৯টি হাট বসবে। আগামী ১৭ জুলাই থেকে এসব হাটে পশু কেরা- বেচা শুরু হবে দুই সিটি করপোরেশনে।
গত দুই সপ্তাহ ধরে চলা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে এভাবে যদি রোগী সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে, তাহলে সবাইকে বিপদে পড়তে হবে জানিয়ে অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেছেন, আগামী সাত থেকে ১০ দিনের ভেতরে হাসপাতালে কোনও সাধারণ বেড এবং আইসিইউ ফাঁকা থাকবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Md Altaf hossain ১৩ জুলাই, ২০২১, ৭:১৪ এএম says : 0
Khola dorkar sorromik marar fondi
Total Reply(0)
G M Mahabubur Rahaman ১৫ জুলাই, ২০২১, ১১:৩০ এএম says : 0
আপডেট নিউজ পাওয়া এখানে
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন