বন্যার পানি কমতে শুরু করায় ঝিনাইগাতীতে চাঁই (ছোট মাছ ধরার ফাঁদ) বিক্রির ধুম পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে অবশ্য এমনিতেই চাঁই এর চাহিদা বেড়ে যায়। বন্যার পর চাহিদা আরো বেড়ে গেছে। উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে দোকানে ব্যাপক ভিড় বেড়েছে। বাঁশের তৈরি এসব চাঁই এখন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পার্শ¦বর্তী উপজেলায় চলে যাচ্ছে। ফলে দামও বেড়েছে।
ব্যস্ততা বেড়ে গেছে এর সাথে জড়িত বাঁশের চাঁই তৈরির শিল্পিদের। সাধারণত দরিদ্র শ্রেনীর লোকরাই চাঁই তৈরির সাথে জড়িত। অনেক নিন্মআয়ের লোকজন বাড়তি আয়ের পথ হিসেবে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। বর্ষা মৌসুমেই শুধু চাঁই এর চাহিদা থাকে। এরপর আর বিক্রি হয় না। তাই এর সাথে জড়িত শিল্পিরা বর্ষায়ই সারা বছরের ইনকাম করে নেয়।
কারিগরদের সাথে কথা বলে জানা যায়- চাঁই তৈরিতে খরচ পড়ে প্রকারভেদে ৬০/৭০ টাকা থেকে আড়াইশ’ টাকা। বিক্রি হয় আড়াইশ’ টাকা থেকে ৫/৬ শ’ টাকায়। তারা জানান, সরকারি সহযোগিতা পেলে এই শিল্পের আরো প্রসার ঘটবে। দুই-তিন মাস ব্যবসা করে সারা বছরের ইনকাম করে নিতে হয়। ব্যবসা ভাল না হলে এসব কারিগরদের দুঃখের সীমা থাকে না। তাই এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা প্রত্যাশা করে তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন