শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

আমনের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক

মো. আশিকুর রহমান টুটুল, লালপুর (নাটোর) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০২১, ১২:০২ এএম

নাটোরের লালপুর উপজেলার মাঠ জুড়ে এখন আষাঢ়ের বৃষ্টিতে রোপা আমন ধানের বীজতলা তৈরি ও বীজ রোপণে কর্মব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষক। আর কিছু দিন পরে শুরু হবে রোপা আমন ধান রোপণের পালা। তাই প্রস্তুতি হিসেবে বীজতলা ও জমি প্রস্তুত করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভৌগলিক কারণে এই উপজেলায় বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এখানে বোরো ধানের চাষ তেমন হয় না। প্রকৃতির উপর নির্ভর করে শুধু বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে রোপা আমন ধানের চাষ করে থাকে এই অঞ্চলের কৃষকরা। চলতি মৌসুমে সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা রোপা আমনের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। এ বছর উপজেলায় ৪২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের বীজ তলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩শ’ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি সম্পূন্ন হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে রোপা আমনের বীজতলা তৈরি হবে বলে ধারণা করছেন কৃষি বিভাগ। সরেজমিনে উপজেলার গোপালপুর, আব্দুলপুর, ওয়ালিয়া, নান্দ, বড়ময়না, কদিমচিলান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা রোপা আমন ধান চাষের জন্য পূর্ব প্রস্ততি হিসেবে বীজতলা তৈরি ও ধান রোপণ করছেন। তবে, এই অঞ্চলের কৃষকরা দেশিয় জাতের বদলে উচ্চ ফলনশীল উফশী ও হাইব্রিট জাতের ধানের বীজ রোপণ করছেন।
উপজেলার ধানচাষি সুপ্রিয় কুমার বলেন, গত বছর অনাবৃষ্টির কারণে ধানের বীজতলা তৈরিতে বিলম্ব হয়েছে। এ বছর সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায় আমারা আনন্দের সঙ্গে ধান রোপণ করছি। প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের শুরু থেকে মাঠে মাঠে রোপা আমন ধান রোপণ শুরু হলেও এবার শ্রাবণের মাঝামাঝি সময় থেকে ধান রোপণ শুরু হবে। ধানচাষি মজনু আলী ও রনী আহম্মেদ বলেন, আগামী ৭-১০ দিন পর্যন্ত বীজ ধান রোপণের কাজ চলবে। তারপর শুরু হবে ধান রোপণের পালা। আমাদের এই অঞ্চলের প্রায় কৃষকই বর্গাচাষি। এদের নিজের জমি নেই, এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে অন্যের জমি লিজ নিয়ে চাষ করে থাকে। জমিতে সেচের ব্যবস্থা না থাকায় বেশি টাকা ব্যয় করে পানি দিয়ে চাষাবাদ করারমতো সামর্থ্য সবার নেই। যে টাকা খরচ করে ধানের চাষ করা হয় ধান বিক্রি করে সে টাকা আয় হয় না। তাই আমরা বৃষ্টির পানিতেই রোপা আমন ধানের চাষ করি।
লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৭ হাজার ৮শ’ ২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব জমিতে ধান রোপণের জন্য ৪২০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সময়মতো বৃষ্টিপাত হওয়ায় প্রতিটি এলাকাতেই কৃষকরা বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। আশা করছি মৌসুমে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন