শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

শেষ মুহূর্তে দাম বেড়েছে আপেল খ্যাত চন্দনাইশের পেয়ারার

প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) থেকে এম এ মোহসীন

বাংলার আপেল খ্যাত চন্দনাইশে পেয়ারা শেষ মুহূর্তে দাম বেড়েছে আকাশ ছোঁয়া। চট্টগ্রামের চন্দনাইশে উৎপাদিত পেয়ারা অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ফলন হয়েছে তুলনামূলক কম। অপরদিকে পেয়ারা গাছে ফুল আসার মুহূর্তে দফায় দফায় অবিরাম বৃষ্টি ও বন্যার ফলে পেয়ারার অন্যান বছরের তুলনায় অনেকটা কম হয়েছে। চন্দনাইশের কাঞ্চনাবাদ, লর্ট এলাবাহাদ, হাশিমপুর, পূর্ব দোহাজারী পাহাড়ি এলাকায় পেয়ারা চাষের বাম্পার ফলন হয় প্রতি বছর। এ বছরে অন্যান্য বছরের তুলনায় ফলন কম হওয়ায় তেমন লাভের মুখ দেখছে না বলে চাষিরা জানায়। চন্দনাইশের উৎপাদিত পেয়ারা চন্দনাইশ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় ট্রাকে করে বিক্রি জন্য নিয়ে যায় ব্যাপারীরা। দেখতে মন ভুলানো চন্দনাইশের এই সুস্বাদু পেয়ারা উল্লেখযোগ্য নাম রয়েছে। বাংলার আপেল খ্যাত চন্দনাইশের এই পেয়ারা সর্বত্রে সুনাম রয়েছে। সাতসকালে পেয়ারা চাষিরা তাদের বাগান থেকে পেয়ারা তুলে ভার করে লাল শালু কাপড় মুড়ি দিয়ে পেয়ারা আটি বেঁধে কাঁধে করে নিয়ে আসেন বাজারে। চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন প্রসিদ্ধ বাজার কাঞ্চনাবাদ, রৌশন, বাদামতল, বাগিচা হাট ও অন্যান্য মহাসড়ক সংলগ্ন বাজারগুলো পেয়ারা বাজার বসে। এসব হাটবাজারে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাজার জমজমাট থাকে। এক টানা ৩ মাস পেয়ারা বসে। পেয়ারা শুরুতে ও শেষে পেয়ারার দাম বৃদ্ধি থাকে। প্রতি ভার পেয়ারা শুরু ও শেষে পর্যায়ে দুই থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। মাঝামাঝি সময়ে ঐ পেয়ারার প্রতি ভার ১ হাজার, ১২শ, ১৫শ টাকায় বিক্রি হয়। পেয়ারার প্রতিডজন আকার হিসাবে সর্বনিম্নে ৩০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। পেয়ারার মৌসুমে অসংখ্যা বেকার মানুষ পেয়ার বিক্রি করে লাভের অংশ দিয়ে তাদের পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে। পেয়ারা বিক্রিকে কেন্দ্র করে ছোট ছোট শিশু-কিশোর ও শিক্ষার্থীরা গাছের কাচা পাতা বিক্রি করেও তাদের আয়ের একটি উৎস খুঁজে পান। এতে করে তাদের পড়া ও পরিবারের ব্যয় ভার মেটান। পেয়ার রং তরু তাজা থাকার জন্য খাচির চতুর দিকে কাঁচা পাতা মুড়িয়ে দেয়। এজন্য পেয়ারা বাজারের পাশাপাশি দরিদ্র পরিবারের কিশোররা কাঁচা পাতা বিক্রি বাজার বসে। কোরবানের পর থেকে পেয়ারা বিক্রি হাটবাজার প্রায় শেষের দিকে। এসব বেকার মানুষ ও কিশোরদের মনে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। কৃষকেরা জানান, তারা আগামী পেয়ারা মৌসুমে অধিক ফলনের জন্য ইতোমধ্যে কোমর বেঁধে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবেই সরকারিভাবে তারা সহজ শর্তের ঋণ পেলে আশানুরূপ পেয়ারার ফলন ঘটাতে সক্ষম হবে বলে জানান পেয়ারা ইলিয়াছ, শুক্কুর, আলম প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন