কোরবানির ঈদে পশুর চামড়া কেনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে জয়পুরহাটের চামড়া ব্যবসায়ীরা। ট্যানারি মালিকদের কাছে ব্যবসায়ীদের গত বছরে পুঁজি আটকে থাকায় তাদের এই দুশ্চিন্তা। এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীদের ঋণ দিয়ে সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা। ট্যানারি মালিকদের নিকট ব্যবসার মূল পুঁজি বহুলাংশে বাকি থাকায় এবং গুদামদারদের বাঁকি টাকা পরিশোধ না করায় সরকারের লাভজনক এই ব্যবসা থেকে অনেকে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে এ ব্যবসা থেকে বিদায় নিচ্ছে।
জেলা চামড়া ব্যবসায়ী অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর কোরবানির ঈদে এ জেলায় প্রায় ১ লক্ষেরও অধিক গবাদি পশু জবাই করা হয়ে থাকে। প্রতি বছরে কোরবানি মৌসুমে এ জেলায় প্রায় আড়াই কোটি টাকার চামড়া বেচা-কেনা হয়। গত বছর প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া দর নির্ধারণ ছিল ৪৫-৫০ টাকা ও ছাগলের চামড়ার দর ছিল ১৮-২০ টাকা।
জয়পুরহাটের চামড়া ব্যবসায়ী মো. শামীম হোসেন জানান, গত বছরে আরতদার ও গুদামদারদের যে টাকা ট্যানারির মালিকরা বাকি রেখেছেন তা আমরা এখনো পর্যন্ত পায়নি। যদি আমরা বাকি টাকা না পাই তাহলে এবার আমাদের পক্ষে চামড়া কিনে লবণজাত করা সম্ভব নয়। সামনে ঈদ অথচ এখন পর্যন্ত ট্যানারি মালিকরা আমাদের বাকি টাকা দিচ্ছে না।
এছাড়া ঈদের কমপক্ষে ১৫ দিন আগে থেকে চামড়া কেনার জন্য আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকি। অথচ এ বছর কোনো প্রস্তুতি তারা গ্রহণ করতে পারেননি বলে জানান এই চামড়া ব্যবসায়ী। সামনে কোরবানি অথচ আরতদার ও গুদামদারদের নিকট কোনো টাকা নেই। বাপ-দাদার এই ব্যবসা হওয়ায় ধারদেনা করে হলেও অনেক আরতদার ও গুদামদাররা এটাকে টিকিয়ে রেখেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন