মার খেয়েও চরম আতঙ্ক এবং উৎকণ্ঠার মধ্যদিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে এক প্রবাসী পরিবার। গতকাল রোববার বিকেলে কুমিল্লার মুরাদনগর প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন পরিবারটি। ভুক্তভোগীরা উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাখরনগর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে প্রবাসী কবির হোসেন ও তার স্ত্রী কুহিনুর আক্তার। তারা বিষয়টির ব্যপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রবাসী কবির হোসেন বলেন, আমার ছোট ভাই খোকন মিয়া আমার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা ধার নেয়। ওই টাকা চাইতে গেলে গত ৯ জুলাই দুপুরে আমার উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। আমাকে রক্ষা করতে গেলে লোকজন এনে দেশীয় অস্ত্রসহ লাঠিসোটা দিয়ে দলবেঁধে আমার স্ত্রীকে রক্তাক্ত জখম করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় কোপ দিলে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আমার স্ত্রী কুহিনুর আক্তার। আমার বৃদ্ধ শাশুড়ি তাদেরকে থামাতে চেষ্টা করলে তাকেও তারা পিটিয়ে আহত করে।
আমাদের চিৎকার ও আমার স্ত্রীকে মৃত ভেবে তারা চলে যায়। পরে এলাকার লোকজন আমাদের উদ্ধার করে মুরাদনগর হাসপাতালে নিলে আমার স্ত্রীর মাথায় ৪টি সেলাই দেয়। চিকিৎসা শেষে ঘটনার সাথে জড়িত শাহআলমসহ নামধারী ৭ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ৯/১০ জনের বিরুদ্ধে আমার স্ত্রী বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় অভিযোগ দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বিষয়টি মিমাংসার উদ্যোগ নেয়। প্রথমে আমরা রাজি না থাকলেও তাদের চাপাচাপিতে এক পর্যায়ে রাজি হই। গত ১৩ জুলাই থানায় বসে বিষয়টি মিমাংসা করেন। ওইদিন রাতেই তারা বাড়িতে গিয়ে আমাদেরকে গুম করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বাড়ির আশ-পাশে বহিরাগত লোকজনের আনাগোনা দেখে আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। এখন আমার বিদেশে যাওয়াটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ভুক্তভোগিরা আমার কাছে আসলে আমি যথাযথ ব্যবস্থা নিব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন