ভুয়া সনদ, জাল সিল ও কাগজপত্র তৈরি করে সুকৌশলে চাকরি দিয়ে এবং চাকরি দেয়ার কথা বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের প্রধান আব্দুল মালেককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪। চক্রটির তিন সদস্য এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত রোববার দিবাগত রাতে রাজধানীর মনিপুরীপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জাল কাগজপত্র ও সিল জব্দ করা হয়। র্যাব সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মো. আব্দুল মালেক জানায়, চক্রের পলাতক তিন সদস্য আব্দুর রাজ্জাক (৫০), আল-আমিন (২৫), অবিনাশ (৩২) মিলে প্রতারণা করে আসছিল। আব্দুল মালেক ১৯৭৯ সালে কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে দাখিল এবং ১৯৯৫ সালে আলিম পাস করে স্থানীয় একটি কলেজ থেকে বি.কম এবং এম.কম ডিগ্রি লাভ করে। সে শিক্ষাজীবন শেষ করে ২০০৪ সালে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে অফিস সহাকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি পায়। চাকরি পাওয়ার পর থেকে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিতে থাকে। এক পর্যায়ে ২০১০ সালে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাকে ২০১৫ সালে চাকরিচ্যুত করে।
প্রতারণার মাধ্যমে আবদুল মালেক আত্মসাৎ করা অর্থের বিবরণ দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন ব্যাংকে আব্দুল মালেকের একাধিক অ্যাকাউন্টে ৫০ লাখেরও বেশি টাকার এফডিআর রয়েছে।
ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন ফোর্ডনগর এলাকায় ৮.২৫ শতাংশ জমি রয়েছে তারা। রাজধানীর মনিপুরী এবং ৬০ ফিট এলাকায় তার তিনটি ফ্লাট রয়েছে যার মূল্য ১ কোটি টাকা। নিজ জেলা কুষ্টিয়ায় সদর থানাধীন বড়িয়া এলাকায় জাহান সুপার মার্কেট ছাড়াও নিজ গ্রামে ২৫ বিঘা জমি এবং একটি পাকা বাড়ি রয়েছে। কুষ্টিয়ায় তার জাহান গ্রুপ নামে একটি কনজ্যুমার প্রোডাক্ট কারখানা রয়েছে। এছাড়া তার কুষ্টিয়া এক্সপ্রেস নামে একটি বাস ও ৪টি ট্রাকও রয়েছে তার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন