টাঙ্গাইল জেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঈদ পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে বিনোদনপ্রেমিদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলমান থাকলেও বিনোদন কেন্দ্রগুলোর অধিকাংশে তদারকি না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে জেলায় করোনার ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার(২৩ জুলাই) সরেজমিনে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাসুলিয়া, সখিপুর উপজেলার বহেড়াতৈল,পলাশতলি, কালিহাতী উপজেলার বঙ্গবন্ধু সেতু সংলগ্ন গড়িলাবাড়ি, যমুনার নিউ ধলেশ্বরীর মোহনায় বেলটিয়া, আলীপুর, ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া-ধলাপাড়া সড়কে কাটাখালী এলাকায় বিনোদন প্রেমীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এসব এলাকায় শত শত’ নারী-পুরুষ ভিড় করছে। কেউ নৌকা ভাড়া নিয়ে আবার কেউ তীরে দাঁড়িয়ে যমুনায় অবগাহন ও তার আগ্রাসী রূপ প্রত্যক্ষ করছে। বাসুলিয়ায় নৌকা নিয়ে উচ্চস্বরে গান ও মিউজিকের তালে তালে চলছে উদ্দ্যাম নৃত্য। নাচতে গিয়ে বৃহস্পতিবার ৩৮জন যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা তলিয়ে যায়। ।যাত্রীদের ৩৫টি মোবাইল ফোন নৌকার সাথে তলিয়ে গেছে।তবে এতে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি দেওপাড়া-ধলাপাড়া সড়কের কাটাখালীতে রীতিমত পসরা সাজিয়ে ২০ টাকার টিকিটের মাধ্যমে কফি হাউজে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্ব স্ব স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় করোনাকালেও এসব বিনোদন কেন্দ্রকে ব্যবহার করে এক শ্রেণির ব্যবসার ফাঁদ পেতেছে।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর হোসেন জানান, খবর পেয়ে তিনি ভ্রাম্যমান আদালত নিয়ে বাসুলিয়ার দিকে যাচ্ছেন।
কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা তানজিন অন্তরা জানান, লকডাউন বাস্তবায়নে একটি ভ্রাম্যমান আদালত মাঠে রয়েছে। তিনি সাথে সাথে ওই এলাকায় মোবাইল টিম পাঠাচ্ছেন।
ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) ফারজানা ইয়াসমিন জানান, খোঁজ নিয়ে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সখিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার চিত্রা শিকারী বলেন,দুইটি মোবাইল টিম সখিপুরে কাজ করে যাচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন