টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জহিরুল ইসলাম (৩২) নামের একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। নিহত জহিরুল ইসলাম পাইকড়া ইউনিয়নের সিহরাইল উত্তরপাড়া গ্রামের ছাইদুল মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাইকড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপালপুর গ্রামের বারেকের চা দোকানে টিভি দেখা ও টিভির সাউন্ড বাড়ানো কমানো কে কেন্দ্র করে বাক বিতন্ডার সময় কয়েকজন বখাটের তার সাথে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পরে। এসময় তারা আজিজুল নামের একজনকে বেধরক মারপিট করে। এর জের ধরে শুক্রবার দুপুরে সিহরাইল গ্রামের কয়েকজন মিলে গোপালপুর গ্রামে গিয়ে স্বানীয় ইউপি সদস্যসহ কয়েকজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে জহিরুল ইসলাম নিহত হন। এ ঘটনায় দুই পক্ষের ৫জন আহত হয়েছেন। এতে সিহরাইল গ্রামের জহিরুল ইসলাম (৩৪), তার আপন ভাই নুরু (৩৪), চাচা জিহাদ (৫০) এবং গোপালপুর গ্রামের মেম্বার ফরমান, পাভেল, আবুল, আজগর, জামান, হাসমতসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে খবর পেয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। পরে সংবাদ পান চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জহিরুলকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং গুরুতর আহত নুরুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেছেন। এছাড়াও অপর আহত জিহাদ (৫০) জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
এ ব্যাপারে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত ও পাঁচ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে নিহতের ছোট ভাই নুরুর (২৫) অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন