শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

রাস্তা পাকা না হওয়ায় চরম জনদুর্ভোগ

তাড়াশের গ্রামীণ সড়ক

শামিম হোসেন, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২১, ১২:০২ এএম

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের তাড়াশ নিমগাছি পাকা রাস্তার ধানকুণ্ঠি (সরাতলা) থেকে মাধাইনগর পর্যন্ত চার কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কটি পাকা করণ না হওয়ায় ৫টি গ্রামের মানুষ নানা সমস্যায় জর্জরিত।
জানা যায়, তাড়াশ সদর থেকে প্রায় ৫ কি.মি. উত্তর পূর্ব দিকের শুভার, মাদার জানি, ঠাকুরপুকুর ও বুড়াপীরসহ ৫টি গ্রাম অবস্থিত। গ্রামবাসীর অভিযোগ, গ্রামের পাশদিয়ে চলে যাওয়া কাচা সড়কটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার করা হচ্ছে না। বর্ষা মৌসুমে কর্দমাক্ত সড়ক দিয়ে গ্রামবাসীকে চলাচল করতে হয়। এসব গ্রামের অধিকাংশ মানুষই আদিবাসী ও কৃষির উপর নির্ভরশীল। সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য হাটে বাজারে নিয়ে যেতে অনেক কষ্ট করতে হয়। সড়কের পাশে ১টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে ও রোগীদের হাসপাতালে আশা-যাওয়ায় কষ্টের শেষ থাকে না।
মাদারজানী গ্রামের মো. লেবু সরকার জানান, আমাদের আয়ের একমাত্র উৎস কৃষি। কিন্তু সেই উৎপাদিত কৃষিপণ্য (ধান) বিক্রি করতে গেলে আমরা বাজার মূল্যের চেয়ে কম পাই। আমাদের অধিক গাড়ি ভাড়া দিয়ে ধান হাটে নিতে হয়। এতে কৃষকের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। তিনি আরো জানান, গত বছর এলাকার জনসাধারণ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এ রাস্তা সংস্কার করেছিল। এছাড়া উপজেলা প্রকৌশল অফিসে রাস্তাটি পাকা করণের জন্য আবেদন করেছিলেন। তখন আমাদের আস্বস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এক বছর অতিবাহিত হলেও কোনো খবর নেই। সুভার গ্রামের এনামুল জানান, নির্বাচনের সময় সকল এমপি ও চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বারবার রাস্তাটি পাকা করণের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে মনে থাকে না।
মাধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. সেরাত আলী জানান, কয়েকটি গ্রামের মানুষের বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতে খুব কষ্ট করতে হয়। বিশেষ করে তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে অধিক ব্যয় করতে হয়।
তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সাইদ জানান, রাস্তাটির ব্যাপারে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন