চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার মির্জাপুর ইউনিয়নের ওবায়দুল্লাহ নগরের বার্মা কলোনির বাসিন্দা এরশাদ। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী এরশাদের আয়ের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম নিজের মোবাইল মেরামতের ছোট্ট একটি দোকান। এই দোকানের আয় দিয়ে চলে তার সংসার। স্থানীয় যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক কিছুদিন ধরেই এরশাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল। টাকা না দেয়ায় দোকান বন্ধ করে দেন তারা। ফেসবুকে এমন একটি ভিডিও দেখে প্রতিবন্ধী ওই যুবকের পাশে দাঁড়ায় পুলিশ। তাকে সহযোগিতা করতে বাড়িয়ে দেয় হাত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় আবার নিজের দোকান খোলেন ওই যুবক। তবে গতকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। পুলিশ সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।
গতকাল রোববার পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা সোহেল রানা জানান, চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার মির্জাপুর ইউনিয়নের ওবায়দুল্লাহ নগরের বার্মা কলোনির বাসিন্দা এরশাদ শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। তার আয়ের একমাত্র মাধ্যম মোবাইল মেরামতের ছোট্ট একটি দোকান। এই দোকানের আয় দিয়ে চলে তার সংসার। স¤প্রতি এরশাদের কাছে চাঁদা দাবি করেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। চাঁদা না দিলে দোকান খুলতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেয় তারা। দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে এক পর্যায়ে এরশাদের দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে নিজের অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও আপলোড করেন এরশাদ। তার ভিডিওটি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের নজরে আনেন স্থানীয় একজন বাসিন্দা। পরে বিষয়টি হাটহাজারী থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলামকে পাঠিয়ে তদন্ত করে প্রতিবন্ধী যুবক এরশাদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয় সদর দপ্তর। এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, কথিত উভয়পক্ষের লোকজন ও স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে এরশাদকে নিয়ে স্থানীয় মানুষের উপস্থিতিতে তার দোকান খুলে দিয়েছে পুলিশ। ভবিষ্যতে এরশাদের ব্যবসা চালু রাখা ও চাঁদাবাজিসহ যেকোনো প্রকার বাধা এলে তার পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন