শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নদী ভাঙনে দিশেহারা

বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি-জমি

ইনকিলাব রিপোর্ট | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর পুরোপুরি সক্রিয় থাকায় দেশে বৃষ্টি পাতের প্রবণতা বেড়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে আগামী তিনদিন ভারি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি সাথে ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে বাড়ছে অধিকাংশ নদনদীর পানি। আর পানিবৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন স্থানে নদীভাঙন তীব্র হচ্ছে। ঘরবাড়ি, জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ। স্কুল, মাদরাসা, মসজিদসহ নানা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সিরাজগঞ্জে যমুনা নদী আগ্রাসী রূপ ধারণ করছে। নদীপাড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। টাঙ্গাইলে যমুনা ও ঝিনাই নদীর ভাঙনে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। মুন্সীগঞ্জে পদ্মার ভাঙনে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়িসহ ফসলি জমি। মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁর ভাঙনে দিশেহারা মানুষ। সারাদেশের নদীভাঙন নিয়ে আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদ তুলে ধরা হলো।

সিরাজগঞ্জ থেকে সৈয়দ শামীম শিরাজী জানান, ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি ফুঁসে উঠেছে। ক্রমে ক্রমে যমুনা নদী তার যৌবন ফিরে পেয়ে আগ্রাসী রূপ ধারণ করছে। সেই সাথে যমুনা নদীপাড়ের ভাঙন তীব্র হচ্ছে। জেলার নদী তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার নদীপাড়ে ভাঙনে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে জেলার দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। যমুনায় পানি বৃদ্ধির কারণে টিউওবয়েল, ল্যাট্রিন, সবজি বাগান, পাট, আখ তলিয়ে গেছে। সেই সাথে চরাঞ্চলের নিম্ন এলাকার মানুষ গবাদী পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে। সংকট দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের। সবকিছু মিলেয়ে যমুনা পাড়ের ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ রিক্ত, নিঃস্ব ও সর্বশান্ত হয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের গুনেরগাতী, বেলকুচি, এনায়েতপুর, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী পাচিল শরিফমোড় গ্রাম ও কাজিপুর সদরে আবারও নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। যমুনার ভাঙন থেকে সিরাজগঞ্জ চৌহালী উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল রক্ষায় পাউবোর জরুরি নদী তীর সংরক্ষণ এলাকায় ভাঙন অব্যাহত গতিতে চলছে। এ যাবত এ এলাকায় ১৫/১৬ বার ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রক্ষায় কাজ করেও কোনো সুরাহা মিলছে না। সমস্যা যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। ভাঙন রক্ষায় হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে অনেকের রাজধানীতে বাড়ি-গাড়ি হলেও ভাঙন এলাকার মানুষের দুঃখ ঘোচেনি। শুধু কি তাই? এনায়েতপুর এলাকা প্রায় ৫ শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল হুমকির মুখে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, ভাঙনরোধে বালুভর্তি জিও টেক্স বস্তা ডাম্পিং অব্যাহত রয়েছে। আশা করি দ্রæততম সময়ের মধ্যে ভাঙনরোধ সম্ভব হবে। অথচ, স্থানীয়রা বলছে, দুই দুইবার জিও টেক্স বস্তা ডাম্পিং করার পরও ভাঙন থামছে না। চৌহালীতে যমুনা তীর সংরক্ষণে নিম্নমানের জিও ব্যাগ ডাম্পিং করার অভিযোগ, ক্ষোভ ও বিক্ষোভও রয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ থেকে মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, মুন্সীগঞ্জে পদ্মা নদীর অব্যাহত ভাঙনে লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নিঃস্ব এবং ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছে শতাধিক পরিবার। লৌহজং শতবর্ষী ব্রাহ্মণগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। লৌহজং উপজেলার খড়িয়া, উত্তর মেধীনীমন্ডল, কান্দিপাড়া, তেউটিয়া, গাওদিয়া ডহুরীসহ শিমুলিয়া-বাংলারবাজার ফেরিঘাট এলাকায় পদ্মার ভাঙন দেখা দিয়েছে। উত্তর ভোজগাঁও, উত্তর দিঘলী ও বড় নওপাড়ার তিনটি গ্রামসহ কৃষিজমি মুরগির খামার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে নওপাড়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও ব্রাহ্মণগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়। পদ্মার করাল গ্রাসে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘীরপাড়, কামারখাড়া, হাসাইল, মূলচর, কান্দারবাড়ি, বাঘবাড়ি এলাকার অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

টাঙ্গাইল থেকে আতাউর রহমান আজাদ জানান, জেলা সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলে যমুনা ও ঝিনাই নদীর পানি কমতে থাকায় নদী তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার চরাঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ তিন শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরিভাবে ফেলা জিও ব্যাগও যমুনার করাল থাবা থামাতে ব্যর্থ হচ্ছে। যমুনার প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিতে চারটি ও ঝিনাই নদী তীরবর্তী একটি উপজেলায় এরই মধ্যে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা, কালিহাতী, নাগরপুর, ভ‚ঞাপুর ও বাসাইল এই পাঁচটি উপজেলায় যমুনার ও ঝিনাই নদীর পানি কমতে থাকায় নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। অপরদিকে টাঙ্গাইলের বাসাইলে গত এক সপ্তাহে ঝিনাই নদীর প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় হঠাৎ তীব্র নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ২০ থেকে ২৫টি ভিটাবাড়ি ও ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ফলে অনেকেই বাড়ি-ঘর ভেঙে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। অনেকেই আবার শেষ সম্বল বসতভিটে হারিয়ে হয়েছেন আশ্রয়হীন। ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছে- বিলপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া বীর নিবাসটিও। এদিকে সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের বাড়িঘর, তাঁত ফ্যাক্টরি, স’মিল ও হাট যমুনার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও ভাঙনের কবলে পড়েছে মাহমুদ নগর ইউনিয়নের মাকরকোল, কেশবমাইঝাইল, তিতুলিয়া, নয়াপাড়া, কুকুরিয়া, বারবাড়িয়া, কাতুলী ইউনিয়নের দেওরগাছা, রশিদপুর, ইছাপাশা, খোশালিয়া, চানপাশা ও নন্দপাশা, হুগড়া ইউনিয়নের মসপুর, বারবেলা, চকগোপাল ও কচুয়া। কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের আলীপুর, ভৈরববাড়ী। নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের পাইকশা মাইঝাইল, খাস ঘুনিপাড়া, খাস তেবাড়িয়া, চর সলিমাবাদ, ভূতের মোড়, ভারড়া ইউনিয়নের শাহজানি, ভারড়া, পাঁচতারা, আগদিঘলীয়া। তবে ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ভালকুটিয়া এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা বেশি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, চরপৌলী হাটখোলা সম্পূর্ণ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড হাটখোলাটি রক্ষার জন্য জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে ৩০০ মিটার এলাকায় জিওব্যাগ ফেলে। জিওব্যাগগুলোও যমুনার তীব্র ঘূর্ণাবর্ত স্রোতে তলিয়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বার বার জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।

মাদারীপুর থেকে আবুল হাসান সোহেল জানান, হঠাৎ করে আড়িয়াল খাঁর রুদ্রমূর্তি ধারণ করে মাদারীপুরের শিবচরের কলাতলা-শিরুয়াইল নদীভাঙন শুরু হয়েছে। নদীর ভাঙন তীব্র হয়ে ওই এলাকার রাস্তাঘাটসহ বেশ কিছু জায়গা নদী গর্ভে চলে গেছে। সংবাদ পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনকবলিত এলাকায় পৌঁছে নদীরভাঙন ঠেকাতে ও বসতবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ গুরুত্বপ‚র্ণ স্থাপনা রক্ষায় বালুভর্তি ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে। আড়িয়াল খাঁ নদীর তীব্র ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভাঙনকবলিত পরিবারের মানুষ। ভাঙনের কবলে পড়েছে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, প্রায় অর্ধশত বিঘা ফসলি জমি। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, বসতবাড়ি, মসজিদ ও কবরস্থানসহ হাটবাজার।

ফরিদপুর থেকে আনোয়ার জাহিদ জানান, জেলার পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্য ফরিদপুর-রাজবাড়ী, গোয়ালন্দ পয়েন্টের এবং ফরিদপুর সদর কুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার খুব কাছাকাছি আছে। পদ্মার পানি বৃদ্ধি ও নদীরপ্রবাহ পরিমাপের বিষয়ে জানতে চাইলে, এই বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তারিক হাসান জানান, উজানের পানি আসছে পদ্মায়ও পানি ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে নদীভাঙনও বাড়ছে। এরই মধ্যে, ফরিদপুর সদর উপজেলার গোলডাঙ্গীর ব্রিজ ও তার ভাটিতে ভুঁইযাডাঙ্গী এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করে জিওব্যাগ ডাপিং করা হয়েছে। তাতেও কাজ হচ্ছে না। সদরপুর উপজেলার দিয়ারার নারিকেল বাড়িয়া, চরনাসিরপুর, হরিরামপুর, চর হরিরামপুর এবং চরভদ্রাসন উপজেলার, চরভদ্রাসন ইউনিয়নের জাকেরর হুরা এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার ফসলি ক্ষেত এবং বাড়িঘর তীব্র নদীভাঙনের কবলে পড়েছে। নদী ভাঙনের কবলে পরে ফরিদপুর সদর উপজেলার ৫০টি বাড়ি, সদরপুর উপজেলার শতাধিক বিঘা ফসলি জমি, চরভদ্রাসন উপজেলার কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ বাড়ি পদ্মার বুকে বিলীন হয়ে গেছে।

শেরপুর থেকে মো: মেরাজ উদ্দিন জানান, গত কয়েকদিন ধরে শেরপুর সদর উপজেলার চরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে তীব্রভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে অন্তত: ছয় গ্রামের ফসলি জমি, মসজিদ ও বাড়িঘর। ভাঙনরোধে দ্রæত পদক্ষেপ না নিলে ভাঙন আরও বড় আকার ধারণ করার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। শেরপুর সদর উপজেলার চরাঞ্চলের বুক চিরে বয়ে চলেছে ব্রহ্মপুত্র নদী। এর দুই পার্শ্বে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় প্রতি বছরই চলে আসছে নদীভাঙন। এতে প্রতি বছরই নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, বাড়িঘরসহ নানা স্থাপনা। এ বছরও বর্ষার শুরুতেই এ নদের তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে প্রতিদিনই বিলীন হয়ে যাচ্ছে একরের পর একর আবাদী জমি। এরই মধ্যে আবাদকৃত বিভিন্ন সবজি খেতের ফসলসহ জমি ভেঙে পড়ছে নদী গর্ভে। এরই মধ্যে শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের চুনিয়ারচর, ভাগলগড়, জঙ্গলদি, বেপারীপাড়া, ডাকপাড়া, কামারেরচর ইউনিয়নের ৬নং চরসহ ৬টি গ্রামের অনেকেই তাদের বাড়িঘর সরিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। নদীভাঙন অব্যাহত থাকলে চুনিয়ারচর গ্রামের ৩টি মসজিদ ও মাদ্রাসা নদী গর্ভে চলে যাবে। এ মুহূর্তে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে চুনিয়ারচরসহ এ ৬টি গ্রামই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশংকা করছেন গ্রামবাসীরা।
মাগুরা থেকে সাইদুর রহমান জানান, জেলার শ্রীপুর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের ঘসিয়াল মৌজার ১৫০০ একর জমি, বসতভিটা, ঘরবাড়ি, গাছপালা, দুটি ঈদগাঁহসহ অনেক স্থাপনা গড়াই নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের শিকার অনেকেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নতুন করে বসতি গড়েছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, নদী ভাঙনের কবলে পড়ে রশিদ বিশ্বাস, শাহীন শেখ, ইদ্রিস শেখ, মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম বিশ্বাস, রসুল বিশ্বাস, বিপ্লব শেখসহ এরই মধ্যে ৩৫টি বসতভিটা হারিয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে চর-চৈৗগাচী গ্রামের শতাধিক বসতভিটা।

গড়াই নদীর উত্তাল স্রোতে এখনো ভাঙছে নদীর পাড়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত অর্ধশত বছরেও নদীভাঙন রোধে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবি তাদের। ভুক্তভোগী রুস্তম বিশ্বাস জানান, গত পঞ্চাশ বছরে ঘসিয়াল মৌজার প্রায় সকল অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এখনো ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নদীতে দ্রুত বাঁধ না দিলে আমাদের আরো বড় ধরনের ক্ষতি হবে। ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন জানান, এরই মধ্যে ভাঙন রোধে বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। পনেরো হাজার জিওব্যাগ প্রস্তুত করে নদীতে ফেলা শুরু হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন