যমুনার ভাঙনে মানচিত্র থেকে বিলীন হওয়ার পথে সিরাজগঞ্জের চৌহালী নেত্রকোনায় সুমেশ^রী নদী ভাঙনে সীমান্ত পিলার নদীগর্ভে বিলীন হলে মূল ভ‚খÐ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে ৫ শত একর জমি
নদী ভাঙন এদেশের সব চেয়ে বড় দুর্যোগ। বর্ষায় বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। অথচ বন্যাকে দুর্যোগ বলা হলেও নদী ভাঙনকে সে অর্থে বিবেচনা করা হয় না। বন্যা বহুলাংশে বরং উপকারী, বড়জোর এক-দুই সপ্তাহের দুর্ভোগ। কিন্তু নদীভাঙন সর্বাংশে বিধ্বংসী, সবচেয়ে বড় দুর্যোগ। ঘ‚র্ণিঝড়ে ঘর উড়ে গেলেও ভিটেটুকু থাকে; বন্যায় ফসল ভেসে গেলেও জমিটুকু থাকে; আগুনে সব পুড়ে গেলেও ছাইটুকু থাকে। কিন্তু নদীভাঙনে সব সম্বল শেষ হয়ে যায়। নদীভাঙনে সকাল বেলার আমির যে সন্ধ্যাবেলাতেই নি:স্ব-ফকির হয়ে যায়।
নদী পাড়ের বাসিন্দাদের কাছে এক আতঙ্কের নাম ভাঙন। দেশে প্রতিবছরই বিস্তীর্ণ এলাকা নদীভাঙনের শিকার হয়। এতে বসতভিটা জায়গা-জমি সব হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে হাজার হাজার পরিবার। রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে, তেমনি নদী ভাঙনে দেশের সীমানা পাল্টে যেতে বসেছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের এক জরিপে বলা হয়, ভাঙনে প্রতিবছর প্রায় ছয় হাজার হেক্টর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়।
সরকারের পানি উন্নয়ন বোর্ডের ট্রাস্টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) পূর্বাভাস মতে, প্রতি বছরই দেশের ১৩টি জেলায় কম বেশি নদী ভঙছে। এর মধ্যে তীব্র ভাঙনের মুখে পড়ে কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, রাজশাহী, ফরিদপুর ও মাদারীপুর। এ ছাড়াও শরীয়তপুর, চাঁদপুর, নেত্রকোণা ও মুন্সিগঞ্জ জেলায়ও নদী ভাঙন দেখা যায়।
বর্ষায় নদীভাঙন স্বাভাবিক হলেও অনেক জেলায় সারা বছরই নদী ভাঙছে। অসময়ে নদী ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ। নদী ভাঙনের ফলে দেশের সীমানা হুমকির মুখে পড়েছে। নদী ভাঙনের তথ্য নিয়ে আমাদের সংবাদদাতাদের প্রতিবেদন তুলে ধরা হল।
সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলা ঘুরে এসে আমাদের সংবাদদাতা সৈয়দ শামীম শিরাজী জানান, ‘নদীর এ কুল ভাঙ্গে ও কুল গড়ে এইতো নদীর খেলা, সকাল বেলার ধনীরে তুই ফকির সন্ধ্যা বেলা’। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত এই গানের কথা এখন সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলাবাসীর জীবনে বাস্তব রূপ লাভ করেছে। তিন যুগ ধরে যমুনা নদীর ভাঙনে নিঃস্ব চৌহালী উপজেলার মানুষ। ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত গতির তীব্র ভাঙনে রাক্ষুসে যমুনা এলাকাবাসীকে করেছে রিক্ত, নিঃস্ব, সর্বশান্ত। এতে কেউ হারিয়েছে বসতভিটা কেউ হয়েছে পথের ফকির। আবার কেউ হারিয়েছে তার নাগরিক পরিচয় টুকু, হারিয়েছে ন্যায্য ভোটের অধিকার। প্রমত্তা যমুনা তার হিংস্র থাবায় বাড়ির ঠিকানা কেড়ে নেয়ায় তাদের এমনতর অবস্থা। তাই তাদের প্রচন্ড ক্ষোভ ও অভিযোগ- আমাদের দুঃখ, দুর্দশা, জ্বালা, যন্ত্রণা ও সমস্যা দেখার কেউ নেই। বলা বাহুল্য চৌহালী উপজেলা ভাঙতে ভাঙতে এখন শুধু মানচিত্র থেকেই নয় সিরাজগঞ্জ জেলার মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে টাংগাইল জেলার শেষ সীমান্তে মিলিত হয়েছে। অপর দিকে উত্তর প্রান্তের কাজীপুর উপজেলাও তীব্র ভাঙনের কারণে মিলিত হয়েছে জামালপুর জেলার সাথে।
যমুনা বিধৌত ঐতিহ্যবাহী সিরাজগঞ্জ জেলাটি নদী বেষ্ঠিত। এ জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৫টি উপজেলা নদী তীরে অবস্থিত। সিরাজগঞ্জ সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর। এর মধ্যে তীব্র ভাঙনের কবলে কাজীপুর, শাহজাদপুর, চৌহালী। দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে চৌহালী ভাঙছে। ২০১০ সালে ভাঙন তীব্র হওয়ার পর মাঝে কয়েক বছর কিছুটা স্থির ছিল। এর পর রাক্ষসী যমুনার ছোবলে ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তীব্র ভাঙছে। বর্তমান পাহাড় সমান ভাঙনের দৃশ্যপট। সিরাজগঞ্জ শহর থেকে কড্ডার মোড় হয়ে টাংগাইল সদর তারপর যেতে হয় নাগরপুর উপজেলা সদরে। সেখান থেকে অটোরিকশা যোগে গয়হাটা এরপর সেই দূর্গম বিনানই গ্রামের ভাঙন এলাকা। প্রায় শত মাইল পথ পেরিয়ে ঠিকানা মিললো সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী। শুষ্ক মৌসু্মে এমনই অবস্থা চৌহালীবাসীর। এর একটি অংশ যমুনা নদীর পশ্চিম তীর সংলগ্ন বেলকুচির পার্শবর্তী এনায়েতপুর। এনায়েতপুর থেকে উপজেলা সদরে যেতে পারি দিতে হয় উত্তাল নদী পথ। ১০৬ নং বিনানই পশ্চিম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেটা ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সেখানে দেখা মিললো ৬৯ বছর বয়সী মোঃ আব্দুল মতিনের সাথে। এরপর তার নদীতে ভেঙে যাবার অশ্রæসজল দৃশ্যের বর্ণনা শুনতে না শুনতেই কানে এলো বৃদ্ধার কন্ঠ। নদী ভাঙনে মড়ে গেলাম বাবা। ৭০ বছরের বৃদ্ধা বলছেন, ৮ বার নদী ভাঙনের কবলে পড়ে এসে বসতি স্থাপন করেছেন বিনানই গ্রামে। সেখানেও নদী ভাঙনের তান্ডবে তিনি দিশেহারা। বাবা ঘরবাড়ি রক্ষা করবো নাকি নাতিপুতি সামলাবো নাকি রান্নাবান্না না করে না খেয়ে মরবো। মহান আল্লাহ কবে যে আমাদের রক্ষা করবেন তিনিই ভালো জানেন।
একই সুরে কথা বললেন রাবিয়া খাতুন। এরপর চরসলিমাবাদ ও চরনাকালিয়ার অবস্থান নিয়ে পেলাম আরও দুঃখের জীবন কাহিনি। এ গ্রামের আজহার মোল্লার ছেলে পঞ্চাশ বছরের বৃদ্ধ আব্দুল করিম তিনি বলে গত ভাঙনে তার প্রায় ৬-৭ লক্ষ টাকার সম্পদ নদী গর্ভে চলে গেছে। এখন তিনি পথে বসেছে। তিনি বলেন আমরা সাহায্য চাইনা, চাই নদী ভাঙনের স্থায়ী সমাধান। আল ইমরান মনু, আঃ রাজ্জাক ও বেলাল তাদের আক্ষেপ নদী ভাঙনের কবলে পড়ে যারা পথের ফকির তারা কোনো অনুদান, নদী ভাঙন কবলিত এলাকার তালিকার মধ্যে পড়ে না। মাঝে মাঝে কিছু চাল-ডাল পেলেও কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি।
জানা গেছে চৌহালীর নদী ভাঙনে রাস্তাঘাট, হাটাবাজার, ঈদগাহ মাঠ, মাদ্রাসা, স্কুল কলেজ সহ অন্যন্য প্রতিষ্ঠান এমনকি এনায়েতপুরে অবস্থিত ৫০০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত খাজা ইউসোফ আলী হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয় নদী ভাঙনের হুমকির মুখে। সেই সংগে হাজার হাজার বিঘা জমি ও ফসল যমুনা গ্রাস করেছে।
নদী ভাঙনে বরাদ্দ কিন্তু কম আসেনি তবে তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নদী তীর রক্ষা সংরক্ষণ প্রকল্প, বøক ডাম্পিং, জিও ব্যাগ ডাম্পিং সহ বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা কিছু ধোপে টিকেনি। তাই নদী ভাঙন কবলিত মানুষেরা ভরসা পাচ্ছে না। কখন নদী ভাঙে আর কখন সবকিছু গোটাতে হয় এর চিন্তায় তারা অস্থির। তাদের চাই স্থায়ী সমাধান। শুস্ক মৌসুমে এমন নদী ভাঙনে পাগল প্রায় ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান ইতিমধ্যে ৪৬ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে কাজটি বাস্তবায়ন করা হবে।
বর্ষা এলেই বানিজ্য ঘটে। বর্ষা এলেই যমুনা নদী ভাঙনে বানিজ্য শুরু হয়। যে বরাদ্দ আসার শুস্ক মৌসুমে সেই বরাদ্দ আসতে আসতে আসে বর্ষা মৌসুমে। ফলে পানির ভেতর কয়টা বøক ফেলা হয় আর কয়টা জিও ব্যাগ/বস্তা ফেল হয় তার হিসাব নিকাশে নাকি থাকে অনেক ফারাগ বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। শুস্ক মৌসুমে বরাদ্দ এলে সেটা দৃশ্যমান হবে বলে বরাদ্দ আসে না, আসে বন্যা এলে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তরুণ ঠিকাদাররা এখন কোটিপতি। সিরাজগঞ্জের অপেক্ষাকৃত তরুণ ঠিকাদাররা এখন অল্প সময় কোটিপতি। রাজধানিতে তাদের অনেক গাড়ি বাড়ি হয়েছে বটে কিন্তু যমুনা নদীর ভাঙনের অবস্থা যে তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি তাদের এতো টাকার উৎস কোথায় সুষ্ঠ তদন্ত করলে থলের বেড়াল বেরিয়ে আসবে।
নেত্রকোনা থকে এ কে এম আব্দুল্লাহ্ জানান, জেলার পাহাড়ি নদী সোমেশ^রীর ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় সীমান্তের ১১৫৬/৮-এস পিলারটি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ সীমান্ত পিলারটি নদীতে বিলীন হলে দুর্গাপুরের ভবানীপুর এলাকার প্রায় ৫ শত একর জমি মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর, নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি দুর্গাপুর উপজেলা। ছোট বড় অংখ্য গারো পাহাড় আর পাহাড়ের কোল ঘেষে কলকল শব্দে বয়ে চলা স্বচ্ছ নীলাভ জলরাশির নদী সোমেশ্বরী এবং বাঙ্গালীদের পাশাপাশি গারো হাজং অধ্যূষিত এই জনপদ ভ্রমন পিপাসু পর্যটকদের ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্বাধীনতার ৫১ বছর পেরিয়ে গেলেও নেত্রকোণা জেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলার প্রত্যাশিত উন্নয়ন হয়নি। এর মধ্যে সোমেশ^রী নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় বিভিন্ন এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য হাবিবুর রহমান হৃদয় জানায়, দুর্গাপুর থেকে ফারাংপাড়া হয়ে ভবানীপুর পর্যন্ত একটি মাটির রাস্তা ছিল। সোমেশ^রী নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় ভবানীপুর এলাকার অনেক বাড়ী ঘরসহ শত শত মিটার জায়গা নদী গর্ভে বিলীন এবং পাহাড়ী খালের একটি ব্রীজ বিধ্বস্ত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। দুর্গাপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদেকুল ইসলাম জানান, সোমেশ^রী নদী ভাঙ্গনের কারণে ১১৫৬ নং সীমান্ত পিলারটি ঝুকির মধ্যে রয়েছে। ভবানীপুর এলাকার বিজিবি’র একটি বিওপি রয়েছে। রাস্তা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় এ অঞ্চলের লোকজন ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি জোয়ানদেরকে ভারতের সীমানা ঘেষে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল ও দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। পিলারটি নদীগর্ভে বিলীন হলে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী নদীর মধ্যবর্তী স্থানকে দুদেশের সীমানা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এর ফলে ভবানীপুর এলাকার প্রায় ৫ শত একর জমি মূল ভূখন্ড হতে বিচ্ছিন্ন হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী বর্ষা আসার আগেই অবিলম্বে নদী শাসনের মাধ্যমে স্থায়ী নদীর তীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ও সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তর দিয়ে প্রায় ১৫ শত মিটার রাস্তা নির্মাণের জোর দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সারোয়ার জাহানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে আমরা ৬ ফেব্রæয়ারী সরেজমিনে এলাকাটি পরিদর্শন করেছি। সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তর দিয়ে প্রায় ১৫ শত মিটার রাস্তা নির্মাণের সম্ভাবতা যাচাই করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ঢাকা, নকশা সার্কেল-১ এর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে আহবায়ক করে ৮ সদস্যের কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারিগরি কমিটি সম্ভাবতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় প্রকল্প প্রনয়ন করবেন। উক্ত প্রকল্পে টাকা ছাড় পেলেই নদী শাসনের মাধ্যমে স্থায়ী নদীর তীর প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, কারিগরি কমিটি প্রতিবেদন দাখিলের পর যতদ্রæত সম্ভব প্রকল্প প্রনয়ন ও স্থায়ী নদীর তীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন