তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা
রাজশাহীর তানোরে ‘ফেয়ার প্রাইস’ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির দশ টাকা কেজির চাল নিয়ে ডিলারগণ চালবাজি শুরু করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সমাজের পিছিয়ে পড়া ও হতদরিদ্রদের জন্য সরকারের উদ্যোগে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। এদিকে এই কর্মসূচির তালিকা প্রণয়ন ও কার্ড বিতরণে শুরু হয়েছে চালবাজি। অভিযোগ উঠেছে স্বজনপ্রীতির। ফলে তালিকায় হতদরিদ্রদের পরিবর্তে নাম উঠেছে আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, ইউপি চেয়ারম্যান সদস্যের আত্মীয়-স্বজন, মহাজন, ব্যবসায়ী, মজুদদার, সচ্ছল ও বিত্তবানদের। আবার ইউপি চেয়ারম্যানের আত্মীয়-স্বজনদের ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। অধিকাংশক্ষেত্রে কার্ড বিতরণের নামে কার্ড প্রতি ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। এদিকে বিত্তবান ও সচ্ছল ব্যক্তিরা কার্ডের চাল উত্তোলন করে সেখানেই বিক্রি করে দিচ্ছেন আবার কেউ গৃহপালিত পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তানোরের ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে ৮ হাজার ৮০৮ জন কার্ডধারী উপকারভোগীদের জন্য ১৪টি ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। একজন কার্ডধারী ১০ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন। চলতি বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে তালন্দ ইউপির ডিলার ও চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের পুত্র রফিকুল ইসলাম মাসুমের কাছে থেকে ১০ টাকা কেজির চাল কালোবাজারে বিক্রির জন্য কামারগা নিয়ে যাওয়ার সময় তানোর-চৌবাড়িয়া রাস্তার লব্যাতলা ব্রিজের কাছে ৩ বস্তা চালসহ একজনকে আটক করে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যায়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তালন্দ ইউপি আ.লীগের সভাপতি নাজিমুদ্দীন বাবু, ইউপি সদস্য হাসান আলী প্রমুখ। কিন্তু খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও তার পুত্র ডিলার রফিকুল ইসলাম মাসুম এসে তদ্বির করে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপস্থিতদের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে তালন্দ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, চাল নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিল বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তালন্দ ইউপি আ.লীগের সভাপতি নাজিমুদ্দীন বাবু বলেন, আমরা চাল ধরে ছিলাম সত্য তবে রাজনৈতিক চাপে চাল ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন