রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক তবুও চলছে পাঠদান

কাউখালীতে ২৪ বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কাউখালী (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
পিরোজপুরের কাউখালীতে ২৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ৫টি বিদ্যালয় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ যা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। জরাজীর্ণ হওয়ায় ভবনগুলো পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে গেছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জোড়াতালি দিয়ে ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিকল্প ভবন কিংবা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ না করতে পারায় চরম আতঙ্কের মধ্যে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষক এবং অভিভাবকবৃন্দ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতেই কার্যক্রম পরিচালনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে ১০নং আমরাজুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৩নং গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৫নং পশ্চিম মাগুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৮নং পূর্ব আমরাজুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২১নং কেউন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৪নং বাশুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৪নং দক্ষিণ-পূর্ব জিবগা সাতুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৬নং দক্ষিণ শিয়ালকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৫নং কেশরতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৮নং দত্তেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৯নং উত্তর হোগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৫নং কাঠালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৯নং জোলাগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪০নং সাপলেজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪১নং দক্ষিণ-পূর্ব জোলাগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪২নং পূর্ব শিয়ালকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫০নং জিবগা সাতুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫১নং মধ্য গোয়ালতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৪নং মধ্য জোলাগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৫নং আ. রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৭নং কাজী হারুণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬২নং মধ্য জোলাগাতী আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬৩নং মধ্য চিরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলোতে শ্রেণীকক্ষ সমস্যা, টয়লেট সমস্যা, এবং বর্ষার মৌষুমে জোয়ারের পানিতে মাঠ তলিয়ে থাকে। এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। নামমাত্র সংস্কার করে কিছু বিদ্যালয় শ্রেণীকক্ষ জোড়াতালি দিয়ে পাঠদানের উপযোগী করা হলেও কিছুদিন পরে শ্রেণীকক্ষগুলো আবার পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এর মধ্যে ৪১নং দক্ষিণ-পূর্ব জোলাগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নির্বাচনী সহিংসতার জেরে দুবৃর্ত্তরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিলেও আজ পর্যন্ত চরম ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই পাঠদান কার্যক্রম চলছে। শিয়ালকাঠি হাজিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন পুকুরের সিঁড়িতে পাঠদানের পর বর্তমানে একটি টিনশেড খোলাঘরে যা সামান্য বৃষ্টিতেই বই-খাতা ভিজে যাওয়ার পর সেখানেই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পাঠদান চলছে। ৬২নং মধ্য জোলাগাতী আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের ঘরে নেওয়া হলেও স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতেই তা তলিয়ে যায়। এদিকে উপজেলার ৬৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ৩৬ জন সহকারি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে উপজেলা সদরের কাছাকাছি বিদ্যালয়টিগুলোতে শিক্ষক সংকট না থাকলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের অধিকাংশ স্কুলে চরমভাবে শিক্ষক সংকট পরিলক্ষিত হয়। ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের লেখাপড়া শহরের চেয়ে অনেক পিছিয়ে পড়ছে। এব্যাপারে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাবেদ হোসেন জানান, নতুন নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষক পরবর্তীতে সমাধান করা হবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো দ্রুত সংস্কার করার জন্য ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন