উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আরো ৮দিন পরে সতর্ক সঙ্কেত প্রত্যাহার হওয়ায় বঙ্গোপসাগরে ইলিশ শিকারে রওনা হয়েছেন পটুয়াখালীর জেলেরা।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে পটুয়াখালীর আলিপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দর থেকে শতাধিক ট্রলার সাগরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। আবহাওয়া যত পরিষ্কার হচ্ছে ঘাটে থাকা অবশিষ্ট ট্রলারগুলো সাগরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার চ‚ড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে স্থানীয় ট্রলারমালিক দের সাথে কথা বলে জানা গেছে রাতের মধ্যে ঘাটে থাকা অবশিষ্ট ট্রলারগুলি বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে রওনা করে যাবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই রাত ১২টায় ইলিশ শিকারের নির্ধারিত নিষেধাজ্ঞার সময় অতিবাহিত হয়। কিন্তু বিগত ২২ জুলাই রাতে বৃষ্টি শুরু হয়ে ৩০ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্র বন্দরের জন্য স্থানীয় ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত থাকায় লঘুচাপের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাতের সাথে সাগর উত্তাল থাকায় ট্রলারগুলো মহিপুর-আলীপুর মৎস্য বন্দরের আশ্রয় নিয়েছিল সহস্রাধিক ট্রলার।
জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, সামুদ্রিক মাছের বাঁধাহীন প্রজনন ও সংরক্ষণে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত দীর্ঘ ৬৫ দিনের মৎস্য আহরনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মৎস্য বিভাগ।
দীর্ঘদিনের অবরোধসহ গতবারের লোকসান কাটাতে ঝুঁকি নিয়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আলীপুর মহিপুর বন্দরের প্রায় ১শ’ ট্রলার সাগরে মাছ শিকারে গেলেও সাগর উত্তাল থাকায় একদিনের মধ্যে তারা ফিরে আসতে বাধ্য হন। এদিকে ভোলা, কক্সবাজার, মহেশখালী, কুতবদিয়ার, বাঁশখালী এলাকার অর্ধাশতাধিক ট্রলার নিষেধাজ্ঞার সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর এলাকায় মাছ শিকারে এসে সাগরের উত্তালতার কারণে মহিপুর-আলীপুর এসে আশ্রয় নেন।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ জানান, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য পটুয়াখালী জেলায় ৩ জাহার বড় ট্রলার এবং ৫ হাজার ছোট ট্রলার রয়েছে। পটুয়াখালী জেলায় তালিকাভুক্ত জেলের সংখ্যা ৬৭ হাজার ৬৬০ জন, গভীর সমুদ্রগামী জেলের সংখ্যা ৪৮,৩৯৮ জন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন