প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সিন্ধু সরকারের আংশিক লকডাউনকে ফেডারেল সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বলে সমালোচনা করে ব্যাখ্যা করেছেন যে, এর ফলে সাধারণ মানুষের পিঠ ভেঙে যাবে। গতকাল রোববার টেলিফোনে সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্বে পাকিস্তানের জনগণের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ বিষয়ে তার মতামত ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারির প্রথম তিনটি তরঙ্গে সরকারের সহযোগিতার জন্য পাকিস্তানের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে অধিবেশন শুরু করেন এবং চলমান চতুর্থ তরঙ্গের বিস্তার রোধে আবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
এরপর তিনি সিন্ধু সরকারের ক্রমবর্ধমান কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে আংশিক লকডাউন জারির সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে বলেন, তারা দরিদ্রদের কষ্টকে বিবেচনায় নেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, ‘আমাদের দেখার বিষয় হল আমরা কি লকডাউন থেকে অর্থনীতিকে বাঁচাতে পারব? তারপর ক্ষুধার সমস্যা আছে ... দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক এবং বিশেষ করে আমাদের সমাজের দরিদ্র অংশ ... লকডাউনের সময়টা তারা কীভাবে পার করব?’ প্রধানমন্ত্রী ‘বিধ্বস্ত ভারত’-এর উদাহরণ টেনে সিন্ধু সরকারকে বলেন, ‘এসব প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত কখনই লকডাউন চাপাবেন না’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (ভারতীয়) সরকার জনসাধারণের কিছু না ভেবেই একবারে লকডাউন জারি করে। সিন্ধু সরকারের জানা উচিত যে, যখন আপনি একটি লকডাউন জোর করে চাপাবেন তখন আপনি মানুষকে ক্ষুধার্ত রাখতে চলেছেন। যদি আপনার কাছে খাবার আনার জন্য সম্পদ না থাকে তবে আপনি ক্ষুধার্ত মানুষকে লকডাউনের অধীনে রাখতে পারবেন না’। ‘স্মার্ট লকডাউন এবং গণটিকা দেওয়া তার সরকারের নীতি’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ইমরান বলেন, অর্থনীতি যে ‘খুব কঠিন সময়ে টিকে আছে এবং ওপরের দিকে যাচ্ছে’ তাকে যে কোনো মূল্যে আঘাত করা উচিত নয়। সূত্র : ডন অনলাইন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন