তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, আজারবাইজন, রাশিয়া, ইউক্রেন ও ইরান থেকে অগ্নিনির্বাপক বিমান পৌঁছানোর ফলে দাবানল নেভানোর কাজ অনেকটা সহজ হয়েছে। এই দাবানলের কারণে অনেক পর্যটক তুরস্ক ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। এদিকে, দাবানল দেখা দিয়েছে ইতালির সিসিলি দ্বীপ এলাকাতেও। পাশের দেশ গ্রিসেও নেই পরিস্থিতির উন্নতি। দাবানলে পুড়েই চলেছে তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ দাবানলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ জনে। দগ্ধ ও আহত হয়েছেন কয়েকশ’ মানুষ। রেহাই মিলছে না বন্যপ্রাণিদেরও। হাজার হাজার দমকলকর্মী আগুন নেভাতে কাজ করলেও কাজে আসছে না তাদের কোনো প্রচেষ্টাই। এ অবস্থায় দেশটি ছাড়তে শুরু করেছেন পর্যটকরা। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাহরেত্তিন কোচা জানান, দুজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি ১০ জন আহত হয়েছেন, তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তুর্কি কর্তৃপক্ষ বলছে, এ পর্যন্ত যে ১০০টি দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে মানাবগাত, মিলাস ও মারমারিস শহরে আগুন বেড়েছে। বনমন্ত্রী বাকির পাকদেমিরলি বলেছেন কিছু আবাসিক এলাকায় এবং হোটেল খালি করা হয়েছে। তুরস্কে এখন একরের পর একর বনাঞ্চল জ্বলছে। বিস্তীর্ণ এলাকায় কেবল আগুন আর আগুন। আকাশ ছেয়েছে ধোঁয়ায়। দেশটির দক্ষিণাঞ্চল ও পশ্চিম অংশে এখন এমনই করুণ দশা। হাজার হাজার দমকলকর্মী আগুন নেভাতে কাজ করছেন। কিন্তু কিছুতেই আগুন বাগে আসছে না। রোববারও নতুন করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আরেকটি অঞ্চলে। বনাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া আগুনে বন্যপ্রাণির পাশাপাশি গৃহপালিত পশু-পাখিও মারা যাচ্ছে। আর মানুষের প্রাণহানিও বাড়ছে রোজ। স্থানীয়রা বলেন, ’আমরা ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। গৃহপালিত পশু নিয়ে আসতে পারিনি। এ জন্য অনেক মন খারাপ। সব কিছুই হারিয়েছি। অনেক কষ্ট হচ্ছে।’ দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চারশর মতো মানুষকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে কেবল মানাভগাতেই। মারমারিসে ১৫৯ জনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ এলাকার আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এখনো আগুন জ্বলতে দেখা গেছে আনতালিয়ায়। তুরস্কের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহেও আনতালিয়ায় তাপমাত্রা থাকবে ৪৩ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। রয়টার্স, আনাদোলু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন