রাজধানীর গুলশান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বিতর্কিত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিনদিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) আদালতে হাজির করা হচ্ছে।
তার নামে গুলশান থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গত ৩১ জুলাই পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শেখ শাহানুর রহমান রিমান্ডের এ আবেদন করেন। আজ সেই রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আলমগীর।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলাতেও রিমান্ড চাওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
গত ৩০ জুলাই একই থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ২৯ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাতে গুলশান-২ এর ৩৬ নম্বর রোডে অবস্থিত বাসায় অভিযান চালিয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করেন র্যাব সদস্যরা। ওইদিনই তার নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৯/৩১ ধারায় এই মামলা করেন র্যাব-১ এর সিপিও মজিবুর রহমান। মামলায় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সংস্থার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
এছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনসহ চারটি ধারায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের পোস্টার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পোস্টারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হেলেনা জাহাঙ্গীর আর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মনিরের নামোল্লেখ করা হয়।
এই সংগঠনের দেশে-বিদেশে শাখা খুলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেওয়ার কথাও বলা হয়। এ নিয়ে খোদ আওয়ামী লীগের মধ্যেই বিতর্কের ঝড় ওঠে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন