মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী বিশ্ব

তিউনিসিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায়ে এরদোগানের গুরুত্বারোপ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

তিউনিসিয়ার পার্লামেন্ট স্থগিত এবং প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। এরদোগান আলাপে তিউনিসিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, তিউনিসিয়ায় স্থিতিশীলতা, শান্তি এবং শান্তিপূর্ণ অবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতেই পুরো অঞ্চলের মঙ্গল নিহিত রয়েছে। তিউনিসিয়া এ ‘সংকট কাটিয়ে উঠবে’ বলে অভিমত তুরস্কের প্রেসিডেন্টের। প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, এ সংকটের মধ্যে পার্লামেন্টকে কার্যকর রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সোমবার এ দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আলাপ হয় বলে জানায় তুরস্কের গণমাধ্যম আনাদোলু ও ডেইলি সাবাহ। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে বিক্ষোভের মুখে উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিচাম মেচিচিকে বরখাস্ত করে সংসদ স্থগিত ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ। প্রেসিডেন্ট সাঈদ জানান, নতুন একজন প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় তিনি নির্বাহী ক্ষমতাগ্রহণ করবেন। প্রেসিডেন্ট সাঈদ বলেন, তিউনিসিয়া এবং তার নাগরিকদের রক্ষার জন্য যে পদক্ষেপ প্রয়োজন ছিল সেটিই নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্নাহদা পার্টি তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদের বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থানের’ অভিযোগ আনে। আর এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দেশটিতে মাসব্যাপী রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেন প্রেসিডেন্ট সাঈদ। মধ্যপ্রাচ্যে ২০১১ সালে আরব বসন্ত নামে যে গণবিক্ষোভ ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তন শুরু হয়েছিল— তার সূচনা ছিল এই তিউনিসিয়াতেই। সেখান থেকে দাবানলের মতোই গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল আরব বিশ্বের এক বিরাট অংশজুড়ে। এর পরের কয়েক মাসে পতন ঘটেছিল ওই অঞ্চলের কয়েকটি শাসকচক্রের। কিন্তু তার ১০ বছর পর সেই আরব বসন্তের সুতিকাগার তিউনিসিয়া পতিত হয়েছে গুরুতর সংকটে— যদিও সেই পটপরিবর্তনের পর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় একমাত্র এই দেশটিই সাফল্য পেয়েছিল বলে মনে করা হয়। আনাদোলু, ডেইলি সাবাহ।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন