শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

মাগুরায় কমলা চাষ করে ভাগ্য ফেরাতে পারে কৃষক

প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সাইদুর রহমান, মাগুরা থেকে

মাগুরা জেলায় কমলা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কমলা চাষে ফিরতে পারে কৃষকদের ভাগ্য। আর ভাগ্য ফেরাতে মাগুরা হটি কালচার সেন্টারের মাধ্যমে চারা সংগ্রহ করে অনেকেই কমলার আবাদ শুরু করেছে। মাগুরা মাটি কমলা চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় রসালো ফল কমলা চাষে ইতিমধ্যে যারা সফল হয়েছে তাদের সফলতা দেখে অন্যরা এগিয়ে আসায় দিন দিন চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভিড় করছে অনেকেই হটিকালচার সেন্টারে চারার জন্য। হটি কালচার সেন্টারের উদ্যান তত্ত্ববিদ আমিনুল ইসলাম জানান, মাগুরার মাটি ও জলবায়ু কমলা চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এখানকার উৎপাদিত কমলা স্বাদে-গন্ধে ভারতের দার্জিলিং এর কমলার মত, মিস্টতার ভাগ বেশি হওয়ায় চাহিদা রয়েছে যথেষ্ট। আকারে বড়, প্রচুর ভিটামিন সি ও পুষ্টিগুণ থাকায় শরীরের ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এ কমলা সহায়ক। মাগুরা শহরের বাসিন্দা অনু মিয়া শখের বসবর্তী হয়ে নিজের বাড়িতে কমলার চারা লাগিয়ে সফল ফলন পেয়ে এখন কমলার বাগান করার জন্য উৎসাহিত হয়ে চারার জন্য হটিকালচার সেন্টারে ঘুরছেন। এছাড়া অনেকেই নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় কমলা চারা লাগিয়ে ভাল ফল পেয়ে চাষের প্রতি উৎসাহিত হয়েছে। হটিকালচার সেন্টারের উদ্যান তত্ত্ব¡বিদ জানান, দেশি-বিদেশী উন্নত জাত ও মানের জার্ম প্রাজম সংগ্রহ করা হচ্ছে। যার আওতায় ভারতের দার্জিলিং থেকে চারা এনে চাষ করে ২ বছরের মধ্যে ফল ধরানো সম্ভব হয়েছে। সেন্টারের মাধ্যমে চারা বিতরণ করা হচ্ছে। মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম কমলা চাষ করে সফলতা লাভ করেছে। তার বাগানে প্রতিটি গাছে ৬০ থেকে ৭০টি কমলা ধরেছে। আকারে বড় ফরমালিনমুক্ত এ কমলা সবার কাছে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। একই এলাকার কমলা চাষি আবু তালেব বলেন, কমলার চাষ অল্প শ্রম এবং সামান্য অর্থের বিনিময়ে প্রচুর অর্থ উপার্জন সম্ভব। মাগুরায় কমলার উজ্জ্বল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে কৃষি বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে। চাষিদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সাইট্রাস ডেবলপমেন্ট প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য স্থানীয় কৃষকরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ ব্যাপারে কোন ভূমিকা রাখছে না। তারা ব্যস্ত তাদের রুটিন মাফিক সাজানো কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে। এ ব্যাপারে মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক সোহরাব হোসেন জানান তিনি নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত এ ব্যাপারে জানেন না। কমলা চাষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ভূমিকা রাখবেন এ আবেদন কমলা চাষিদের। এদিকে মাগুরায় পরীক্ষামূলক কমলা চাষ সফল হওয়ায় মাগুরাকে কমলা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আনার জন্য বিশেষজ্ঞ মহল মত পোষণ করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন