শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

র‍্যাবের নজরদারিতে আঁচল-শিলা-নায়লা-অহনাসহ অনেকেই!

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট, ২০২১, ২:৪১ পিএম

পর্নোগ্রাফি ও মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে একের পর এক র‍্যাবের হাতে আটক হচ্ছেন বিনোদন জগতের মডেল ও অভিনেত্রীরা। গতকাল বুধবার এই তালিকায় যুক্ত হল ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনি ও কথিত প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ। পরীমনি ছাড়াও ঢাকার শোবিজ জগতের ডজনখানেক মডেল-অভিনেত্রী নিষিদ্ধ পর্নো ব্যবসায় জড়িত বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

এই তালিকায় রয়েছেন চিত্রনায়িকা আঁচল, শিরিন শিলা, বিতর্কিত মডেল নায়লা নাঈম, মডেল অহনা, শুভা, মানসি, পার্শা, মৃদুলা ও মৌরি । গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল খাইরুল ইসলাম।

তিনি জানিয়েছেন, মডেল বা নায়িকাদের পাশাপাশি কয়েকজন চিত্রনায়কও মাদক এবং অবৈধ পর্নোগ্রাফি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা যেকোনো সময় আটক হতে পারেন।

শিরিন শিলা মূলত বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা আরমানের বান্ধবী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। পরে ক্যাসিনো সম্রাটের সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে। সম্রাট তাকে এতটাই পছন্দ করতেন যে, সিঙ্গাপুর থেকে লাখ টাকার গয়না এনে দিতেন হরহামেশা।

নায়লা নাঈমের বিষয়ে র‌্যাবের একটি সূত্র জানায়, তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পর্নোগ্রাফি ব্যবসা ছাড়াও সে ব্লাকমেইল করে। তার বিরুদ্ধে যেকোন সময় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।

তবে শুধু নায়িকা বা মডেল নন। বেশ কয়েকজন চিত্রনায়ক মাদক এবং অবৈধ পর্নোগ্রাফি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে অন্যতম হাসান নামের জনৈক চিত্রনায়ক। তিনি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে সিনেমা জগতের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন থাকলেও বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন। তার অবৈধ আয়ের মূল উৎস পর্নোগ্রাফি।

সূত্র জানায় জনৈক হাসান মাঝখানে কিছুদিন এমএলএম ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। বন্ধ হয়ে যাওয়া এমএলএম কোম্পানি ইউনিপে টু ইউর পরিচালক ছিলেন তিনি। এমএলএম ব্যবসায় তার পার্টনার ছিলেন রেদোওয়ান বিন ইসাহাক নামের এক পীরের ছেলে। কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে ইসহাক ও হাসান কিছুদিন গা ঢাকা দেন। পরে তারা যৌথভাবে সিনেমায় লগ্নি করেন। মদ্যপ অবস্থায় গভীর রাত পর্যন্ত এফডিসির ঝর্ণা স্পটে তাদের দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায়।

এদিকে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় পার্টি বা ডিজে পার্টির নামে চলত অনৈতিক কর্মকাণ্ড। বসানো হতো মাদকের আসর। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হাতে এসেছে দেশি-বিদেশি ৫০ মডেল-অভিনেত্রীর নাম-পরিচয়। যাদের অনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হতো।

রাজধানী ঢাকার গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে পার্টির নামে মাদক সেবনসহ অনেক অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তথ্যে নজরদারি বৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Md Maidul Islam Murad ৫ আগস্ট, ২০২১, ৬:০৯ পিএম says : 0
প্রভা, বাঁধন, মিথিলা, অপু বিশ্বাস, হিরো আলম, শাকিব খান, জায়েদ খান এবং অনন্ত জলিলকেও কড়া নজরদারীতে রাখা হউক।
Total Reply(0)
শাহ্ রিয়াজ ৫ আগস্ট, ২০২১, ৬:১০ পিএম says : 0
আজ থেকে কয়েক বছর পরে হয়ত খবরের শিরোনাম হবে - সে অনেক আগের কথা , চলচিত্র নামে বাংলাদেশে একটা শিল্প ছিলো ৷
Total Reply(0)
M G Rabbe Foysal ৫ আগস্ট, ২০২১, ৬:১০ পিএম says : 0
সবাইকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা উচিৎ।
Total Reply(0)
HR Habib ৫ আগস্ট, ২০২১, ৬:১০ পিএম says : 0
এরা মডেল বা অভিনেত্রী নয় এরা বিত্তশালী যৌনকর্মী।
Total Reply(0)
Kazi Sakib ৫ আগস্ট, ২০২১, ৬:১১ পিএম says : 0
বর্তমানে, এই জেনারেশনের বেশিরভাগ অভিনেতা অভিনেত্রী মডেল ভালো তেমন নেই। যা বুঝতেছি।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন