শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনোদন প্রতিদিন

আদালতে পরীমনি, নাসির-অমিসহ ৩ জনের চার্জশিট গ্রহণ শুনানি আজ

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:২২ এএম | আপডেট : ১১:৩৯ এএম, ১ ডিসেম্বর, ২০২১

চিত্রনায়িকা পরীমনি আজ আবারও আদালতে হাজির হয়েছেন। পরীমনিকে মারধর, বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের চার্জশিট গ্রহণ শুনানির জন্য আজ বুধবার (১লা ডিসেম্বর) দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ শুনানি হবে। শুনানির আগে সকাল ১০টার দিকে পরীমনি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়েছেন।

পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সৌরভী বলেন, বুধবার সকাল ১০টায় পরীমনি ট্রাইব্যুনালে এসেছেন। এদিন অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে আসামিরাও আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য রয়েছে।

গত ১৪ জুন ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে পরীমনি সাভার থানায় এ মামলা করেন। মামলার এজাহারে পরীমনি বলেন, দুই নম্বর আসামি অমি পরিকল্পিতভাবে আমাকে বর্তমান বাসা থেকে ঢাকা বোট ক্লাবে নিয়ে যান। তিনি অজ্ঞাতনামা চারজন আসামি ও নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে ও জোরপূর্বক আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি আমার সঙ্গীদের সহায়তায় ধর্ষকের হাত থেকে রক্ষা পাই। রাত আনুমানিক ৩টায় আমি আমার গাড়িতে প্রায় অচেতন অবস্থায় অপর সঙ্গীদের সহায়তায় বাসায় ফিরে আসি।

পরীমনির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় করা মাদক মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৫ জুন সাভার থানার পুলিশ পরিদর্শক কামাল হোসেন তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। নাসির ও অমি মাদক মামলায় রিমান্ডে যাওয়ায় ওই দিন রিমান্ড শুনানি হয়নি। মাদক মামলায় রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বিচারক তাদের পরীমনিকে ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার মামলায় করা রিমান্ড আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। ২৩ জুন (বুধবার) ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসান শুনানি শেষে তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৯ জুন পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। তখন মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে তাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমীদা তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

বর্তমানে নাসির জামিনে রয়েছেন। তবে অমি কারাগারে আটক রয়েছেন। এ মামলায় নাসির ও অমি ছাড়া শহিদুল আলম নামে অন্য এক আসামি পলাতক রয়েছেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন