মাদকসহ গ্রেপ্তার আলোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং মৌ আক্তারের প্রধান সমন্বয়ক শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান এবং তার সহযোগী মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানের বিরুদ্ধে ঢাকার দুই থানায় পাঁচটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর ভাটারা থানায় চারটি মামলা করেছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর খিলগাঁও থানায়। এক ভুক্তভোগী চাঁদাবাজির অভিযোগ করে মামলাটি করেছেন। বৃহস্পতিবার পাঁচ মামলায় ১৫দিন করে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গতরাতে র্যাব বাদী হয়ে ভাটারা থানায় চারটি মামলাগুলো করে। এসব মামলার মধ্যে রয়েছে- অস্ত্র, মাদক, জাল নোট ও পর্ণগ্রাফি অভিযোগ।
ভাটারা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান বলেন, র্যাব বাদী হয়ে মিশু ও তার সহযোগী জিসানের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে।
খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল আলম জানান, একজন ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মিশু ও তার সহযোগী জিসানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির একটি মামলা করেছেন। সম্প্রতি মাদকসহ আটক মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মৌসহ অর্ধশতাধিক মডেলকে অনৈতিক ও প্রতারণার কাজে ব্যবহার করতেন শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান। তাদের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। কিনেছেন নামি-দামি ব্রান্ডের বিলাসী সব গাড়ি। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মিশু ও তার সহযোগীকে অস্ত্র, মাদক, ভারতীয় জাল রুপী, বিলাসবহুল ফেরারি গাড়িসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আটকরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এই চক্রের সদস্য ১০ থেকে ১২ জন। তারা রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকা বিশেষ করে গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় পার্টি বা ডিজে পার্টির নামে মাদক সেবনসহ নানাবিধ অনৈতিক কর্মকা-ের ব্যবস্থা করে থাকেন। পার্টিতে তারা অংশগ্রহণকারীদের নিকট হতে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন। অংশগ্রহণকারীরা সাধারণত উচ্চবিত্ত পরিবারের সদস্য।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন