দেশে করোনা পরিস্থিতিতে এবং কঠোর লকডাউনে বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে থেমে নেই কৃষকরা। বর্ষার ডাকে সাড়া জাগিয়েছে কৃষকের মন। বর্ষার শুরুতে কৃষকেরা কেউ কেউ আউশ ধানের বীজ লাগিয়েছে আবার কেউ কেউ বর্ষার মাঝামাঝিতে আমন বীজ রোপনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। চন্দনাইশ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে গত কয়েক দিনে টানা ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে। এতে আউশ ধানের চারা পানির নীচে তলিয়ে গেলে। নষ্ট হওয়ার আশংকা করছে আউশ ধান চাষিরা। চাষি ইদ্রিস মিয়া ও মোস্তাফিজ জানান, গত কয়েক বছর ধরে আগের মতো তেমন লাভের মুখ দেখছি না। কারণ গত বছরে এক দিকে দফায় দফায় বন্যা, অপর দিকে শ্রমিক মজুরি ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকা দিতে হয়। সারের দামও বেশি। তবুও কৃষকরা থেমে নেই। করোনার কঠোর লকডাইনে অনেকে সবজি ক্ষেত করে তাদের আয় ব্যায় পুষিয়ে আসছেনা বলেও জানান। কারণ আগের তরকারি বাজার বসতে পারছেনা।
চন্দনাইশে কৃষকদের উৎপাদিত মৌসুমি কাঁচা তরকারি দেশের বিভিন্ন জেলার বেপারীরা নিয়ে যেত। সারা বছর কৃষকেরা মৌসুমি রকমারি ফসলের চাষাবাদে তাদের জীবন-জিবিকা নির্বাহ করে থাকে। কিন্তু এবার কঠোর লকডাউনে সেসব বন্ধ।
উপজেলা কৃষি অফিসার স্মৃতি রানী ও কৃষি স¤প্রসারন অফিসার মোহাম্মদ ইমরান হোসেন জানান, এবারে দুই হাজার চারশ’ দশ হেক্টর আউশধান রোপন হয়েছে এবং আট হাজার চারশ’ হেক্টর আমন রোপনে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সেই সাথে কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ নানাবিধ পরামর্শ প্রদান ও সার্বিক সাহায্য কৃষি অফিস থেকে অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন