রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

রাজধানীতে আনসারুল্লাহর ৪ সদস্য গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০২১, ৮:২০ পিএম

সাইবার টহলের মাধ্যমে গত ছয় মাস ধরে কয়েকজন যুবককে নজরদারি করছিল পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। শুরুতে তাদের কার্যক্রম ধীর হলেও ক্রমেই তা বাড়তে থাকে। টানা ছয় মাস নজরদারি করার পর আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) চার সদস্যকে গ্রেফতার করে এটিইউ। বুধবার ভোর ৪টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রায়েরবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- রায়হান হোসেন ওরফে সাব্বির হোসেন রাইহান ওরফে আল রাব্বি, তানভীর হোসেন, আমিনুল ইসলাম ও সাগর ইসলাম ওরফে ইউসুফ বিন আব্দুর রাকিব। চারজন একই এলাকার বাসিন্দা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট, ২টি ছােরা এবং ২টি উগ্রবাদী বই, ৫টি বুকলেট জব্দ করা হয়।

পরে আজ বিকালে রাজধানীর বারিধারায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এটিইউর পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মোহাম্মদ আসলাম খান।

তিনি বলেন, এই গ্রুপের সদস্যরা ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ প্রতিষ্ঠার জন্য অনলাইনে উগ্রবাদী বিভিন্ন পোস্ট প্রচার করে আসছিল। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার দিত। নাশকতা করার জন্য এই চক্রের সদস্যরা পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতির জন্য একটি গ্রুপ খুলে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করত। পুলিশ সুপার আসলাম খান বলেন, বড় কোনো নাশকতা করার মতো তাদের সক্ষমতা নেই। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই আমরা তাদের গ্রেফতার করেছি। তাদের সঙ্গে আর কার যোগাযোগ ছিল তা জানতে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, গ্রেফতার হওয়া এবিটি সদস্যরা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। তারা সবাই একই এলাকায় বসবাস করতেন। সেই সুবাদে তারা নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ ও অনলাইনে যোগাযোগ করতেন। গত ৬ মাস ধরে তাদের ওপর নজরদারি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে মো. রায়হান হোসেন ওরফে সাব্বির হোসেন রাইহান মাতাউল হাজি আব্দুর লতিফ ভূইয়ান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র। তানভীর হোসেন স্থানীয় হাজী মিছির আলী ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ২য় বর্ষে শিক্ষার্থী। মো. আমিনুল ইসলাম ২০১৬ সালে রায়েরবাগ এলাকার বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ইন্টারনেট ব্যবসা শুরু করে। অপর সদস্য সাগর ইসলাম ঢাকার গর্ভ. ল্যাবরেটরি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেফতার মো. রায়হান হোসেন ওরফে সাব্বির হোসেন রাইহান ওরফে আল রাব্বি (১৮) ও তার সহযোগীরা ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ প্রতিষ্ঠার জন্য অনলাইনে উগ্রবাদী প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। তাদের উদ্দেশ্যে ছিল বাংলাদেশে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা। তারা জঙ্গি নেতা জসীমউদ্দিন রাহমানীর মতাদর্শকে অনুসরণ করতেন। এ কারণেই বিভিন্ন উগ্রবাদী বই ও বক্তৃতা অনলাইনে পোস্ট করতেন। এতে যারা আগ্রহী হতেন তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন এ চক্রের সদস্যরা।

এসপি মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় জঙ্গি সংগঠনগুলো ভেঙে পড়েছে। বড় কোনো হামলা চালানোর মতো তাদের সক্ষমতা নেই। তবে তারা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নিজেদের মতাদর্শ প্রচার ও নতুন কর্মী সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এ বিষয়ে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট জঙ্গি সংগঠনগুলোর সদস্যদের উপর নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর কদমতলী থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
jack Ali ১১ আগস্ট, ২০২১, ৯:৩০ পিএম says : 0
আল্লাহর আইন দিয়ে দেশ চলে এদেশে আওয়ামী লীগ বলে বিএনপি বলে কোন দল থাকত না আজকে বাংলাদেশে যারা আল্লাহর আইনের কথা বলে তাদেরকে আনসারুল্লাহ আনসারুল্লাহ . J @B কত কি বলে এসব মানুষজনকে ধরে ধরে জেলের মধ্যে ঢুকাচ্ছে ..বাংলাদেশ সন্ত্রাসী হচ্ছে সবচেয়ে বড় সরকার.. নবী সাল্লাল্লাহ পাঠিয়েছিলেন সারাবিশ্বে দ্বীন কায়েম করার জন্য আজকে যারা দ্বীন কায়েমের কথা বলে তাদেরকে জঙ্গি বলে ধরে ধরে জেলের মধ্যে রাখা হচ্ছে... যখন মৃত্যু আসবে তখন বুঝবেন কে জঙ্গি আর কে জঙ্গি না.. আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কোরআনে বলে দিয়েছি যে আল্লাহর দল হচ্ছে হেজবুল্লাহ এবং তার অনুসারী হচ্ছে মুসলিম যারা আল্লাহর দলকে মানে না তারা শয়তানের দলে এবং তাদের বাসস্থান হচ্ছে চিরস্থায়ী জাহান্নাম
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন