মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

যুব দিবসে টিআইবি’র ৯ দফা সুপারিশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২১, ১২:০২ এএম

তরুণদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে ব্যাপক ক্ষতি পোষাতে ৯ দফা সুপারিশ পেশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি। আজ (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক যুবদিবসকে সামনে রেখে এসব সুপারিশ পেশ করে সংস্থাটি। গতকাল বুধবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সুপারিশ পেশ করা হয়। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড.ইফতেখারুজ্জামান বিবৃতিতে বলেন, কোভিড অতিমারীতে দীর্ঘদিন স্বশরীরে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম থেকে দূরে থাকা, কর্মসংস্থানের অনিশ্চয়তা এবং ভবিষ্যত কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জে দেশের তরুণ সমাজ মানসিক ও আর্থ-সামাজিক গভীর সংকটপূর্ণ সময় পার করছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় যুব জনগোষ্ঠীর শিক্ষা ও ভবিষ্যত কর্মসংস্থান নিশ্চিতে দ্রæত ও কার্যকর মনোযোগ ও বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।
তিনি বলেন, দেশে করোনা অতিমারীর কারণে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার ১৬ মাস পার হলেও সেগুলো খোলার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত সমন্বিত ও কার্যকর কোনো কর্মপরিকল্পনা নেয়া যায়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ক্লাসের চেষ্টা করা হলেও কারিগরি দক্ষতা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগের অভাবে তা অনেকাংশেই সফল হয়নি। বরং এটি শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন এক বৈষম্যের মুখোমুখি করেছে। বেশ কিছু গবেষণা বলছে, গ্রামাঞ্চলের ৬৩ শতাংশ পরিবারের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই এবং ব্যবহারের দক্ষতা নেই ৮৭ শতাংশ পরিবারের। ফলে গ্রামীণ ও আদিবাসী শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। এতে ধনী-গরীব ও শহর-গ্রামের মধ্যে শিক্ষা পাবার সুযোগের ক্ষেত্রে বৈষম্য প্রকট হয়েছে, যা মোকাবেলায কার্যকর কোনো সরকারি উদ্যোগ এখনও দৃশ্যমান নয়। এটি সত্যিই হতাশার।
টিআইবি পেশকৃত সুপারিশগুলো হচ্ছে : (১) শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বল্প সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯ এর টিকা প্রদান করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অতিদ্রæত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দিতে হবে। (২) স্বল্প,মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কার্যক্রম নিশ্চিত করে পরবর্তী স্তরে উত্তরণের ব্যবস্থা নিতে হবে (৩) ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ করে, নারী, প্রতিবন্ধী, আর্থিকভাবে অসচ্ছ¡ল, আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষাগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে (৪) স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে তরুণদের যথাযথ কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে (৫) তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনার পাশাপাশি করোনায় যেসব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত থেকে তরুণরা কর্মহীন হয়েছে বিশেষ প্রণোদনার মাধ্যমে সেগুলো চালুর উদ্যোগ নিতে হবে। (৬) কারিগরি ও বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিকল্প পেশার ( যেমন আউটসোর্সিং, ফ্যিল্যান্সিং) জন্য কর্মহীন তরুণ বা নতুন গ্র্যাজুয়েটদের প্রস্তুত করতে হবে। (৭) সরকারী-বেসরকারী যেসকল চাকুরী পরীক্ষা ও নিয়োগ বন্ধ রয়েছে অবিলম্বে সেগুলোর প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে এবং নতুন বিজ্ঞপ্তির ক্ষেত্রে কোভিড অতিমারির প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার মানদন্ড নির্ধারণ করতে হবে। (৮) সকল চাকুরির নিয়োগ প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত রেখে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সমান প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। (৯) তরুণসমাজসহ সকল নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আইনী ও নীতিকাঠামোর প্রয়োজনীয় আমূল সংস্কার করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন