শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

বিএসআরএফ, ডিআরইউ ও ক্রাবে স্থাপিত, সচেতনতা সৃষ্টিতে বাবরের করোনা প্রতিরোধক বুথ প্রশংসিত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০২১, ৬:০৬ পিএম

বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে স্থাপিত হয়েছে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের করোনা প্রতিরোধক বুথ। করোনা মহামারিতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তার এই উদ্যোগ প্রশংসিত হচ্ছে সর্বত্র। তার একক প্রচেষ্টায় উদ্ভাবিত এই বুথ এখন দেশজুড়ে আলোচনায়। চট্টগ্রাম পেরিয়ে রাজধানী ঢাকা হয়ে আলো ছড়াচ্ছে দেশের ৬৪ জেলায়। সচেতনতা সৃষ্টির এই বুথ স্থাপিত হবে প্রতিটি উপজেলায়ও।

 

প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে (গণমাধ্যম কেন্দ্র) গত সপ্তাহে স্থাপিত করা হয়েছে করোনা প্রতিরোধক বুথ। এর আগে কর্মরত রিপোর্টারদের একমাত্র সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি এবং বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে স্থাপিত হয়েছে এই বুথ। প্রতিদিন সাংবাদিকরা এই বুথ থেকে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করছে।

 

করোনা মহামারিতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের উদ্ভাবিত ‘করোনা প্রতিরোধক বুথ’ এখন দেশজুড়ে আলোচনায়। চট্টগ্রাম পেরিয়ে রাজধানী ঢাকা হয়ে এই করোনা প্রতিরোধক বুথ আলো ছড়াচ্ছে দেশের ৬৪ জেলায়। সচেতনতা সৃষ্টির এ বুথ স্থাপিত হবে প্রতিটি উপজেলায়ও। রাজনীতির পাশাপাশি করোনার সময়ে বাবরের এই উদ্যোগ প্রশংসিত হচ্ছে সর্বত্র।

 

 

হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর চট্টগ্রাম নন্দনকানন ইউনিট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, এনায়েত বাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, ওমরগনি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সিটি স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য (নানক-আজম) এবং যুবলীগ কেন্দ্রীয় পরিষদের উপ-অর্থ সম্পাদক (ফারুক-হারুন) পদে দায়িত্বরত ছিলেন।

 

হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের উদ্ভাবিত এই করোনা প্রতিরোধক বুথ ৬ ফিট লম্বা এবং দেড় ফিট চওড়া। এর ভেতরে রাখা থাকছে ২ লিটার স্যানিটাইজার ও ৩শত মাস্ক। ভেতরে আছে ডাস্টবিন বক্স। যেখানে ব্যবহার করা মাস্ক রাখা যাবে। বাবরের আলো ছড়ানো এই করোনা প্রতিরোধক বুথ স্থাপিত হয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে। এছাড়াও রাজধানীর সড়কে সড়কে স্থাপিত হয়েছে এই বুথ।

 

বিষয়টি নিয়ে উদ্ভাবক হেলাল আকবর চৌধুরী গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, করোনা প্রতিরোধক বুথ পিভিসি বোর্ডের মাধ্যমে তৈরি করা এটি এটিএম বুথের আদলে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এটিএম বুথের আদলে করা এই করোনা প্রতিরোধক বুথ দেখলেই টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ার মানুষ যেন বুঝতে পারে এই বুথ থেকে বিনামূল্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সেবা পাওয়া যায়। এটি মানুষের মাস্ক ব্যবহার ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এবং গণ-সচেতনতা বৃদ্ধির একটি কৌশল।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে এই করোনা প্রতিরোধক বুথ উপহার হিসেবে পাঠাচ্ছি। যাতে জেলা-উপজেলায় জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্ব-উদ্যোগে মানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে পারে। পাশাপাশি ব্যক্তিবর্গ ও সংগঠন এই পদ্ধতি অনুসরণ করে কার্পেন্টার মিস্ত্রি দিয়ে করোনা প্রতিরোধক বুথ প্রস্তুত করতে পারে। ইতোমধ্যে অনেক জেলাতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সুরক্ষা সচেতনতা তৈরিতে যে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে তারই আদলে যদি দেশের প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে সুরক্ষা সচেতনতা নিশ্চিত করা যায়, তবে সুরক্ষার চাদরে আবদ্ধ করা যাবে পুরো দেশকে। দেশের সবকটি মার্কেটের মালিক ও ব্যবসায়ী সংগঠন যৌথ উদ্যোগে সমিতির বিবিধ খরচের পাশাপাশি এই বুথগুলোর খরচ পরিচালনা করলে সুরক্ষিত হবে দেশ।

 

‘দেশের ৩০০ আসনের সংসদ সদস্যদের যদি নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় বিশেষ বরাদ্দ থাকে, তবে এই বুথ স্থাপনের কর্মসূচি হাতে নিয়ে নিজ সংসদীয় এলাকা করোনামুক্ত করা সম্ভব। যদি সরকারি বরাদ্দ না থাকে তবে নিজ উদ্যোগে এটা করলে বাংলাদেশ সুরক্ষা পাবে। যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা স্বনামধন্য কোম্পানি কিংবা রকমারি বিজ্ঞাপন প্রচারকারী সংস্থা নিজেদের বিজ্ঞাপন বাজেটে বিভিন্ন স্থানে বা নিজ এলাকা ও কর্মস্থলে বিজ্ঞাপনের আদলে এই বুথ পরিচালনা করলে মানুষ এটি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবে এবং করোনা ঠেকানো যাবে।

 

‘দেশের সব মসজিদ পরিচালনা পরিষদ নিজেদের ফান্ড থেকে এই বুথ পরিচালনা করে সংক্রমণ ঠেকাতে পারবে। দেশের স্বনামধন্য ও সর্বস্তরের খাদ্যসামগ্রী বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের শো-রুম ও কারখানায় প্রবেশপথে এই বুথ পরিচালনা করলে মানুষ ও ক্রেতা উভয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। শহর-গ্রামে সবখানেই আবাসিক ভবনে মালিক ও ফ্ল্যাট পরিচালনায় কমিটি ও আলাদা ফান্ড আছে, যা থেকে করোনা প্রতিরোধক বুথ স্থাপন করলে সব ভবন সুরক্ষা পাবে। যানবাহন মালিক ও শ্রমিকদের কমিটি যৌথ উদ্যোগে বাসস্ট্যান্ডে করোনা প্রতিরোধক বুথ স্থাপনের মাধ্যমে করোনা থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে পারে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন