গঙ্গাচড়া (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
একটি টর্চ লাইন, কিছু সাবানের গুঁড়ার পানি ও একটি বালতি দিয়ে তৈরি আলোক ফাঁদ পদ্ধতি গঙ্গাচড়ায় কৃষকদের মাঝে দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ পদ্ধতির ফলে একদিকে যেমন কৃষকের অর্থের অপচয় কম হচ্ছে অন্যদিকে তেমনি ক্ষেতের মধ্যে উপকারী পোকার উপস্থিতি জানা যায় এবং নিরাপদ ফসল উৎপাদন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। কৃষকরা জানায়, প্রতি বছর কারেন্ট পোকা (বাদামি গাছ ফড়িং) মাজরা পোকা, খোল পচন রোগ ও ধান শীষে পচন ধরে সহস্রাধিক একর জমির ধান ক্ষেত পুড়ে যায়। ক্ষেতের রোগ সারাতে বিভিন্ন ধরনের কাটনাশক ¯েপ্র করেও যেমন ক্ষেতের ফসল রক্ষা হয় না তেমনি জমি তার উর্বরা শক্তি কমে যায়। সম্প্রতি গঙ্গাচড়া উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে আলোক ফাঁদ পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (পিপি), খামারবাড়ী, রংপুর আফতাব হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুলাহ আল মামুন, অতিরিক্ত কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল খালেদ, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী, বেলাল হোসেন প্রমুখ। উপজেলা সদর ইউনিয়নের কৃষক জয়নাল আবেদিন জানায়, আলোক ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষকদের উপকার হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুলাহ আল মামুন জানান, খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় আলোক ফাঁদ পদ্ধতি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন