গাইবান্ধায় সম্প্রতি তিনটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডে অংশ নেয়া ১০ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে জেলার ফুলছড়ি উপজেলার সুজন মাঝি নিখোঁজের ঘটনায় চারজন, সদরের কামারজানীর বালুচরে গার্মেন্টস কর্মী নান্নু মিয়া হত্যা মামলায় জড়িত পাঁচজন এবং লিখন হত্যাকান্ডে জড়িত মামুনসহ দশ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, এক মাসের ব্যবধানে এসব হত্যাকান্ড গুলো ঘটায় জেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে মাঠে নামে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্লুলেস এসব হত্যাকান্ডে জড়িতদের দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় জেলা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে । গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- সুজন মাঝি হত্যা ঘটনায় ফুলছড়ি উপজেলার আরগার চর গ্রামের মৃত ছাবের আলী সরকারের ছেলে নাজির মেম্বার (৫০), ডাকাতিয়ার চর গ্রামের আব্দুল হাই মন্ডলের ছেলে আব্দুল আলিম (৩৬), নুর ইসলামের ছেলে আব্দুল মালেক (২৭), কুড়িগ্রাম জেলার চর ভগবতিপুর গ্রামের রবিমীর এর ছেলে নূর আলম (৩০), নান্নু হত্যা মামলায় সদর উপজলোর কিশামত মালিবাড়ী (ঝাউবাড়ী) গ্রামের সাইদার রহমানের ছেলে শাহীন ইসলাম (১৯), সৈয়দ আলীর ছেলে শরীফ ইসলাম(১৯), হায়দার আলীর ছেলে আয়নাল হক (২১), কলিমউদ্দিনের ছেলে হারুন অর রশিদ (১৯), হাবিবুর রহমানের ছেলে জিসান বাবু (১৭) এবং লিখন হত্যা মামলায় শহরের ডেভিড কোম্পানিপাড়ার বাদশা হাওলাদারের ছেলে মামুন হাওলাদার (৩০)। এছাড়াও গাইবান্ধা সদরের রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালুয়ায় রোকন হত্যা মামলার তিনজন আসামি গ্রেফতার ও চারজন আসামি আদালতে আত্মসমর্পন করে। তাদেরকে রিমান্ডের জন্য পুলিশ আবেদন জানিয়েছে। অপরদিকে ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রকি হত্যা মামলার সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট একজনকে পুলিশ ঘটনার দিনই গ্রেফতার করে। এছাড়াও ওই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয় এবং ৩ জন আসামি পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন