‘আমরা নির্বাচন আইলে ভোট দেই। আমরার ভোটে এমপি-মন্ত্রী ও মেম্বার-চেয়ারম্যান অইন। কিন্তু পাস করার বাদে কেউ আমরার খোঁজ কবর নেয়না। সরকার গরিবের নামে টিফকল দেয় (নলকূপ), টিন দেয়, লেফটিন দেয়, (ল্যাটিন) নগদ টেখা দেয়, আমরা পাইনা। গরিবব হক্কলর মাল যায় ধনীর ঘরে।’ এমন কথাগুলো বলেছেন, সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার পুরানগাঁও গ্রামের বয়োবৃদ্ধ বারফুল বেগম। তাদের দু:খের কাহিনী কেউ শুনতে চায়না। গতকাল প্রতিবেদককে কাছে পেয়ে এমন কথা বলেন তিনি।
সরেজমিন দেখা যায়, বিশ্বনাথ পৌরসভার পুরানগাঁও গ্রামে গাছতলা নামকস্থানে প্রায় ১৫ থেকে ২০টি পরিবারে একটি বাড়ি রয়েছে। এই বাড়িতে প্রায় শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে। গাদাগাদি করে ভাঙ্গা ঝুপড়ির মত ঘরে বসবাস করায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে পরিবারগুলো। এই বাড়িতে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাটিন, নলক‚প না থাকায় বিরাজ করছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। নলকূপের অভাবে থালা-বাসন ধোয়া ও গোসল করতে হচ্ছে বাড়ির পাশের দূষিত পানির ডোবায়। এতে করে এ বাড়ির অনেকই রুগাক্রান্ত। বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পাকা রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া করছেন জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার ধনাট্য ব্যক্তিবর্গরা। নাক মুখ চেপে ধরে চলাফেরা করলেও তাদের কথা ভাবছেনা কেউ। এমনকি সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত রয়েছে তারা। এই গ্রামে প্রায় অর্ধশত পরিবারের এমন হাল।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ও ইউপি সদস্য শামিম আহমদ জানান, ইউনিয়নে স্যানিটেশন ল্যাটিন ও নলক‚প পর্যাপ্ত বরাদ্ধ না থাকায় কিছু পরিবারকে দেয়া সম্বব হয়নি। বিশ্বনাথ পৌর প্রশাষক সুমনচন্দ্র দাস জানান, এমন অবস্থার খবর স্থানীয় জন প্রতিনিধি জানালে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিলেট-২ আসনের এমপি মোকাব্বির খান এই প্রতিনিধিকে জানান, পুরানগাঁও গ্রামের সার্বিক অবস্থান খোঁজ নেয়ার জন্য প্রতিনিধি পাটানো হয়েছে। যাচাই বাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন