এবার লক্ষমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে চাঁদপুরের পাট চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলার প্রতিটি উপজেলায় পাট কাটা, জাগ দেয়া ও পাট ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। অন্য বছরের তুলনায় এবার পাটের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।
সোনালি আঁশ খ্যাত পাট আবাদে এক সময় চাঁদপুর জেলার অবস্থান ছিল প্রথম সারিতে। সবচেয়ে বেশি আবাদ হয় জেলা সদর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলায়। যার মধ্যে দেশি, তোষা, কেনাফ ও মেস্তা জাতের পাট রয়েছে। জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছর জেলায় পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে। যা আগের বছরের তুলনায় দুইশ’ হেক্টর কম।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সময় মত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাট কেটে বিভিন্ন জলাশয়ে জাগ দেয়া হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও দেখা গেছে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে। চাষিরা পাট কেটে নদী-নালা, খাল-বিল ও ডোবায় জাগ দেয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং হাটে-বাজারে তা বিক্রিসহ সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে ভালো মানের পাটের মূল্য ২৮০০ টাকা মণ ও নিম্নমানের পাটের মূল্য ২৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে ন্যায্য মূল্য পেয়ে চাষিদের মাঝে এখন পাট চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার সানকি সাইর গ্রামের কৃষক মো. লোকমান পাটওয়ারী জানান, এবার জমিতে পাট চাষ করে ফলনও ভালো হয়েছে এবং অন্য বছরের তুলনায় দাম বেশি হওয়ায় লোকসানেও পড়তে হচ্ছে না।
কৃষক সিরাজ মিয়াও সেকান্তর আলী বলেন, ‘মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম তবে পরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ফলন ভালো হয়েছে। এবার বাজারে পাটের মূল্য বেশি হওয়ায় আগামী বছর আরও বেশি জমিতে পাট চাষ করব।’
কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকতা জানান, চাঁদপুর জেলায় এবছর ৪১০৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। পাট কাটা ইতোমধ্যে শেষ পর্যায়ে। পাটের ফলন মোটামুটি ভালই হয়েছে। তবে লকডাউনের কারণে পাট বাজারজাত করণে কিছুটা সমস্যা আছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ের অনেক জনবল সংকট রয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করি কৃষকদেরকে সঠিক পরামর্শ দেয়ার জন্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন