হোসেনপুর-ঢাকা মহাসড়কের হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া সীমান্তবর্তী কাওনাবাজার সংলগ্ন নরসুন্দা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর বিকল্প রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে পাশ^বর্তী পাকুন্দিয়া উপজেলাসহ ঢাকা যাতায়তে যানবাহন ও পথচারিরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
তাই ভুক্তভোগিরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে জরুরি প্রতিকার দাবি করেছেন। হোসেনপুর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০ ফুট দৈর্ঘের সেতুটি নরসুন্দা নদীর ওপর নির্মাণের কাজটি জেলার এস. আলম নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পেয়েছে। কিন্তু নদীর পানি প্রবাহের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না রাখার কারণে বৃষ্টিতে সেতুর পার্শের রাস্তা ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেতুটি নির্মাণের ক্ষেত্রে আরসিসি পাইপ অথবা বেইলিব্রিজ দিয়ে গাড়ি পারাপারের ব্যবস্থা রাখার দরকার ছিল। কিন্তু এলইজিডির তদারকি গাফিলতির কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা করেনি বলে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান। ফলে নদির পানি বৃদ্ধি ও কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিতে মাটির ডাইভারসন রাস্তাটি ভেঙে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সরেজমিনে সেতু নির্মাণের আশপাশে কোন সর্তকমূলক সাইনবোর্ড বা নিরাপত্তা বেষ্টনির ব্যবস্থা নেই। ফলে অনেক যানবাহন ১৫/২০ কি.মি. বিকল্প রাস্তায় পাকুন্দিয়া কিংবা ঢাকার গস্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে। এ সময় সীমান্তবর্তী কাওনা ও দগদগা গ্রামের বাসিন্দা শামছুল আলম, আনোয়ার হোসেন রেনু/আব্দুল কাদির ইসমাইলসহ অনেকেই জানান গত ৭ দিন ধরে ভাঙন দেখা দিলেও সংশ্লিষ্ট কোন পক্ষই পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্থানীয়দের উৎপাদিত সবজি বিক্রির জন্য আশপাশের বাজারে নিতে পারছে না। এতে করে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। এ নিয়ে দুই উপজেলার লোকজনের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে হোসেনপুর উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা মো. মুরসালিন জানান, ব্যাস্ততম এ মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভিাবিক রাখতে ও নদীর পানি প্রবেিহর জন্য অতি শ্রীর্ঘই কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন