শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সবার সচেতনতা প্রয়োজন’

‘শব্দদূষণ-নিয়ন্ত্রণে-সবার-সচেতনতা-প্রয়োজন’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০২১, ১০:৪৮ পিএম

পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, শুধুমাত্র জোর করে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এজন্য সকলের সচেতনতা প্রয়োজন। শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারি বিভিন্ন বিভাগের পাশাপাশি রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের প্রতিনিধিবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়া জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন দফতর ও সংস্থায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অন্যান্য বিষয়ের সাথে শব্দদূষণের ক্ষতির বিষয়ে প্রচারণা চালানোর বিষয়ে তিনি জোর দেন। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে গতকাল পরিবেশ অধিদফতর আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় বিআরটিএ, বাংলাদেশ পুলিশ, রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর (যুগ্ম সচিব)সহ পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক (পরিকল্পনা), পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট), পরিচালক (বায়ুমান ব্যবস্থাাপনা), পরিচালক (ঢাকা মহানগর), বিআরটিএ-এর প্রতিনিধি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-এর তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক), গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক), রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাও, উবার, সহজ, ওভাই, চালডাল.কমসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এরপর প্রকল্প পরিচিতি, সভার উদ্দেশ্য ও প্রত্যাশা, শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব, রাইড শেয়ারিং নীতিমালা-২০১৭, শব্দদূষণ রোধে বিবিধ আইন, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ এর গুরুত্বপূর্ণ ধারা সম্বলিত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক খন্দকার মাহমুদ পাশা। এ বিষয়ে বিআরটিএ-এর সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, রাইড শেয়ারিং নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ২৪,১৬০টি মোটরসাইকেলকে এনলিস্টেড সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি প্রতিষ্ঠান তা নবায়ন করেছে এবং বাকি ১০টি প্রতিষ্ঠান করেনি।
সভায় উবার, পাঠাও, সহজ, সিএনএস লি: এবং চালডাল.কম-এর প্রতিনিধিবৃন্দ জানান যে, রাইড শেয়ারিং-এর ড্রাইভারদের সড়ক নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হলেও বিনা কারণে হর্ন ব্যবহারের মাধ্যমে শব্দদূষণের বিষয়ে তাদেরকে তেমনভাবে সচেতন করা হয়নি। তারা পরিবেশ অধিদফতর, ট্রাফিক পুলিশ ও বিআরটিএ-এর সহযোগিতা নিয়ে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিবেন বলে সভাকে অবহিত করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন