তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউপি এলাকায় তানোর-চৌবাড়িয়া রাস্তার পূর্বদিকে অবস্থিত ছাঐড় বালিকা নি¤œমাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের সামনে খেলার মাঠ মাঠের পরেই প্রায় ৪ বিঘা জমিতে গড়ে উঠেছে আমবাগান। আমবাগানে দীর্ঘ এক যুগ ধরে সাথি ফসল ধান চাষ করছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুলতান আহম্মেদ। ফলে তার নিজস্ব জমিতে স্কুল খেলার মাঠ আমবাগান লিচু বাগান ও ধানের চাষ করে এক অনান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রধান শিক্ষক। জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্যে প্রধান শিক্ষক সুলতান আহম্মেদ ৭৫ শতাংশ জমিতে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন। স্কুল প্রতিষ্ঠা করার একটা দৃঢ় স্বপ্ন ছিল তার। এক সময়ের তুখোড় ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। আশপাশের জেলাসহ দেশে বিভিন্ন স্থানে রয়েছে তার ফুটবল নৈপুণ্যের যাদু। সুলতান আহম্মেদের খেলোয়াড় জীবন থেকে ২০০১ সালের দিকে বিচরণ ঘটে রাজনীতিতে। তার আগেই প্রতিষ্ঠা করেন নিজের জমিতে স্কুল। গ শিক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রেমী বানানে আম বাগানে চাষ করে আসছেন সাথি ফসল হিসাবে ধান। আমের সময় তার বাগানে শিক্ষার্থীরাসহ এলাকার অনেকেই ফ্রি আম খেয়ে থাকেন। সবার সঙ্গে রয়েছে সুসম্পর্ক। সুশিলমনা এক তরুণ উদীয়মান। ওই স্কুলের শিক্ষক রবিউল ইসলাম জানান, স্কুলের সামনে চমৎকার প্রকৃতি গড়ে তুলেছেন প্রধান শিক্ষক। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষক সুলতান আহম্মেদ জানান, স্বপ্নে ছিল এই জায়গায়তে স্কুল গড়ে আম লিচু বাগানসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করে প্রকৃতির মধ্যে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা। ১২ বছর ধরে এ আম বাগানে ধান, সরিষা পার্শ্বে পুকুর। পুকুরের পাড়ে লিচু বাগান, সুপারি, নারিকেল গাছসহ বিভিন্ন গাছ গড়ে তোলা হয়েছে। স্কুলটিতে ৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষার্থী রয়েছে ১১০ জন। কৃষি অফিস জানান, উপজেলা জুড়ে আম-বাগান রয়েছে ৩৬০ হেক্টর জমিতে। মিশ্র আম-বাগানের যদিও সঠিক হিসাব নেই কৃষি অফিসের। কিন্তু অনুমান করে জানায়, ৭০ থেকে ৮০ হেক্টর জমিতে মিশ্র আম-বাগান থাকতে পারে বলে জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, যাদের জমির পরিমাণ সামান্য তাদের কৃষি বিভাগ থেকে মিশ্র ফসলের জন্যে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ফলে এখন আম-বাগানে ধান চাষ ব্যাপক হারে হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন