গত কয়েক দিন ধরে পদ্মা যমুনা নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌারুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অনেক দূর উজানে গিয়ে ফেরিকে ঘাটে ভিড়তে হয়। এতে ফেরিগুলো এক ঘাট থেকে অপর ঘাটে ভিড়তে সময়ও লাগছে বেশি। এদিকে স্রোতের বিপরীতে চলতে গিয়ে প্রতিদিনই বিকল হচ্ছে ফেরি। ফলে ঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘাটে আটকে পড়া যাত্রী ও শ্রমিকরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান গতকাল বিকেলে জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌারুটে নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে গত কয়েক দিন ধরে ফেরি পারাপারে সময় লাগছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। বর্তমানে ঘাট সচল রাখতে ১৮টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে। পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও ছোট বড় আরও যানবাহন পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
অপরদিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য যানবাহন পারাপার বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ পড়েছে এই নৌরুটে। মাত্র ১৮টি ফেরি দিয়ে অতিরিক্ত যানবাহন পারাপারে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। পর্যাপ্ত খাবার হোটেল ও টয়লেট না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন আটকে পড়া যাত্রীরা। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস, অ্যাম্বুলেন্স, পচনশীল পণ্য বহনকারী ট্রাক পার করা হচ্ছে। তারপরেও অনেক যাত্রীবাহী বাস, ছোট গাড়ি ও শত শত ট্রাক পারের অপেক্ষায় রয়েছে। ট্রাক চালকরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে তারা পারের অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু ফেরি পারের টিকিট পাচ্ছেন না।
বিআইডব্লিউটিসি’র পাটুরিয়া ঘাটের সহকারী প্রকৌশলী মো. বাবুল হোসেন বলেন, স্রোতের বিপরীতে ফেরি চলার কারণে গত দুই দিন ধরে ফেরি বিকল বেশি হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ঘাটে ভিড়তে সময় লাগছে বেশি।
মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সাত্তার জানান, স্রোতের কারণে বেশি স্পিডে ফেরি চালাতে হচ্ছে। আর এ জন্যে ফেরি ঘন ঘন বিকল হয়ে পড়ছে। নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় ট্রিপ সংখ্যা কমে গেছে। অন্যদিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের যানবাহন এখানে আসায় অতিরিক্ত চাপ পড়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন