ঘন কুয়াশার কারণে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ১১ ঘণ্টা এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ৩ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় চার পাড়ে এবং মাঝ নদীতে আটকে পড়া ফেরির যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, গত বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই যমুনা অববাহিকায় কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত ১০টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যায়। এসময় নৌপথ দৃষ্টিসীমার বাহিরে চলে গেলে কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। গত বুধবার দিবাগত রাত ১০টাক থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১১ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এসময় রো-রো ফেরি শাহ মখদুম, ফেরি কপোতি, ফরিদপুর ও ক্যামেলিয়া আরিচা থেকে যানবাহন ও যাত্রী বোঝাই করে কাজিরহাট যাওয়ার পথে মাঝ নদীতে নোঙর করে থাকতে বাধ্য হয়। পরে গতকাল সকাল ৯টার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে ফেরিগুলো তীরে ভীরতে সক্ষম হয়। এসব ফেরির যাত্রীদেরকে দীর্ঘ এসময় মাঝ নদীতে ফেরির মধ্যেই বসে থাকতে হয়।
এদিকে বুধবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ২ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর চারটার দিকে এ নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়। উক্ত নৌপথে ফেরির মার্কিং বাতির আলো অস্পষ্টতার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান জানান, মধ্য রাতে পদ্মায় কুয়াশার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ফেরির মার্কিং বাতির আলো অস্পষ্ট হয়ে আসে। আরিচা-কাজিরহাট ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। কুয়াশার প্রকোপ কমে গেলে উক্ত নৌরুটগুলোতে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হলেও উভয় ঘাটে কয়েকশো যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ৪টি এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৬টি ফেরি দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জরুরি যানবাহন, বাস ও ছোট গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। ফলে আর আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন